অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্রতীরবর্তী ৮২ ফুট দৈর্ঘ্যের ‘অ্যাভালন রক পুল’ থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্যের কর্নওয়েলের ‘মারমেইড পুল’—লোনাপানির এ ধরনের পুলগুলো দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। লন্ডনভিত্তিক লেখক ও আউটডোর সুইমিংয়ে উৎসাহদাতা ক্রিস রোমার-লির নতুন বইয়ে এ ধরনের ৬০টির বেশি নান্দনিক সামুদ্রিক পুলের আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে। এসব পুলের আবেদন কেবল নান্দনিকই নয়, এগুলোর সুরক্ষাব্যবস্থাও তাঁকে খুবই আকৃষ্ট করেছে।
সি পুলস বইয়ে রয়েছে নকশাবিদ ও ক্রিসের সহকর্মী সাঁতারুদের লেখা। এসব লেখায় উঠে এসেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নানা পুলের বৈশিষ্ট্য। বইটিতে ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে আজ পর্যন্ত সামুদ্রিক পুলের স্থাপত্য ও ইতিহাস অনুসন্ধানেরও চেষ্টা হয়েছে।
এক দশক আগে সুইজারল্যান্ডে পারিবারিক অবকাশের সময় সামুদ্রিক পুলের প্রতি ক্রিসের মুগ্ধতা তৈরি হয়। জুরিখ হ্রদে সাঁতারের অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে টেমস বাথস নামের একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। সংগঠনটি টেমস নদীতে ভাসমান পুল তৈরির প্রচারণা চালিয়ে আসছে।
বিশ্বজুড়ে সমুদ্রসৈকতের পাশে প্রায়ই চোখ এড়িয়ে যাওয়া পুলগুলোর প্রতি বইটি মনোযোগ ফেরাবে বলে আশা করছেন ক্রিস। তিনি বলেন, ‘আসুন, আমরা এই প্রাচুর্যগুলো এবং সেগুলো আমাদের জন্য যা করে, তা ভুলে না যাই। একই সঙ্গে সমুদ্রের বাকি অংশগুলোর মতোই এই পুলগুলোকে সম্মান দেখাই।’