সামরিক গুপ্তচর স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ‘গুরুত্বপূর্ণ ও চূড়ান্ত ধাপের’ পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। আগামী বছরের এপ্রিল নাগাদ এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে। খবর আল-জাজিরার
আজ সোমবার কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানায়, উত্তর কোরিয়ার জাতীয় মহাকাশ উন্নয়ন প্রশাসন গতকাল রোববার এ পরীক্ষা চালিয়েছে। দেশটির পিয়ংইয়ং প্রদেশের চোলসান এলাকার সোহাই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে এ পরীক্ষা চালানো হয়।
কেসিএনএ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, একাধিক ক্যামেরা, ইমেজ ট্রান্সমিটার ও রিসিভার, নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, স্টোরেজ ব্যাটারিসহ একটি রকেট ৫০০ কিলোমিটার উচ্চতায় উৎক্ষেপণ করা হয়।
এতে বলা হয়, স্যাটেলাইটে ছবি ধারণের সক্ষমতা, তথ্য প্রেরণ ও গ্রাউন্ড কন্ট্রোল সিস্টেম পর্যালোচনা করার উদ্দেশ্যে এ পরীক্ষা চালানো হয়েছিল।
উত্তর কোরিয়ার মহাকাশ উন্নয়ন প্রশাসনের মুখপাত্র কেসিএনএ-কে বলেন, ‘আমরা গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত নির্দেশক, যেমন মহাকাশের পরিবেশে ক্যামেরা পরিচালনা প্রযুক্তি, তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও যোগাযোগ যন্ত্রের তথ্য প্রেরণ সক্ষমতা, গ্রাউন্ড কন্ট্রোল সিস্টেমের শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণ নির্ভুলতার বিষয়গুলো নিশ্চিত হয়েছি।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ২০২৩ সালের এপ্রিল নাগাদ প্রথম সামরিক গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করছে উত্তর কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি আজ বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল ও পার্শ্ববর্তী শহর ইনচিওনের স্যাটেলাইট চিত্রও প্রকাশ করেছে কেসিএনএ। ছবিগুলো ওই পরীক্ষামূলক স্যাটেলাইট থেকেই তোলা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উত্তর কোরিয়া গতকাল দুটি মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও উৎক্ষেপণ করেছে। দেশটির পূর্ব উপকূলে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে সাগরে গিয়ে পড়ে ক্ষেপণাস্ত্র দুটি। এর আগে গত শুক্রবার রকেটের নতুন ইঞ্জিনের পরীক্ষা চালিয়েছে বলেও জানায় পিয়ংইয়ং।
গতকাল এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হন দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। বৈঠকে তাঁদের ভাষায় উত্তর কোরিয়ার অব্যাহত এই উসকানির নিন্দা জানানো হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট দপ্তর থেকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া এর জবাব দেবে।