অস্ট্রেলিয়ার মধ্য বামপন্থী লেবার সরকার জীবনযাত্রার ব্যয় কমিয়ে মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে তাদের কেন্দ্রীয় বাজেটে ৯৮৮ কোটি ডলার বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এতে মূল্যস্ফীতি বাড়বে না বলে সরকার আশা করছে।
জিনিসপত্রের দাম সহনীয় রাখতে ও মূল্যস্ফীতি কমাতে এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সরকার জানায়। বছরের প্রথম তিন মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও এখনো ৭ শতাংশের কাছাকাছি, যা ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আগামীকাল মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণা করা হবে। এই বাজেটকে সামনে রেখে অর্থমন্ত্রী জিম চালমারস এক বিবৃতিতে বলেন, বাজেটের মূল হবে...জীবনযাত্রার খরচে স্বস্তি আনা, যাতে মূল্যস্ফীতি আর না বাড়ে।
মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ খরচের চাপে আছে। আমরা অনেক যত্ন নিয়ে এই বাজেট তৈরি করেছি, যাতে এটি জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহে মানুষের ওপর চাপ আর না বাড়িয়ে বরং কমায়।’
চার বছর ধরে নিম্ন আয়ের পরিবার, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং পেনশনভোগী এমন ৫০ লাখের বেশি পরিবারকে এ সহায়তা দেওয়া হবে।
গত সপ্তাহে রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়া (আরবিএ) সুদের হার বাড়ায়। চালমারস বারবার বলেছেন, বাজেটে ব্যয় কমানো হবে, যাতে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতির চাপ না বাড়ে।
আরবিএ গত শুক্রবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, মূল্যস্ফীতির কারণে উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়া, বিদ্যুৎ ও ভাড়া বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়েছে।
বয়স্ক ব্যক্তিদের সেবায় কাজ করা ব্যক্তিদের যাঁরা চার বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন, তাঁদের বেতন বাড়াতে সরকার সম্প্রতি ৭৬৪ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেয়। এরপরই এ ঘোষণা এল। এ ছাড়া তামাকে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ কর বৃদ্ধি এবং তেল ও গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আরও ১৬২ কোটি মার্কিন ডলার আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।