শ্রীলঙ্কায় আগামী ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আজ শুক্রবার সরকারি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক সংকটে আছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটি। গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচন দেশটির সংস্কারের ভাগ্য নির্ধারণ করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যে নির্বাচনে প্রার্থিতার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের অধীনে নির্বাচন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার জনসংখ্যা ২ কোটি ২০ লাখ। এর মধ্য ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ।
গত বছর ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কাজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। পরে তিনি পদত্যাগ করেন। ২০২২ সালের জুলাই মাসে নতুন প্রেসিডেন্ট হন ৭৫ বছর বয়সী বিক্রমাসিংহে।
২০১৯ সালে পাঁচ বছরের জন্য শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রাজাপক্ষে। তিনি ক্ষমতা হারানোর পর মেয়াদের বাকি সময় দায়িত্ব পালনের জন্য দেশটির পার্লামেন্ট বিক্রমাসিংহেকে নির্বাচিত করে।
কলম্বোভিত্তিক সেন্টার ফর পলিসি অল্টারনেটিভসের জ্যেষ্ঠ গবেষক ভবানী ফনসেকা বলেন, শ্রীলঙ্কার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচন আহ্বান করা অত্যন্ত জরুরি। তবে এখন নির্বাচন কমিশনকে সেসব কাজ করতে দেওয়া উচিত, যা করার জন্য এটি দায়বদ্ধ। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অপরিহার্য।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ২৯০ কোটি টাকার সহায়তা নিয়ে অর্থনীতিতে বিপর্যয় অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন বিক্রমাসিংহে। ২০২২ সালে দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭০ শতাংশ। সেটি কমিয়ে ১ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়েছে বিক্রমাসিংহের সরকার। স্থানীয় মুদ্রা শক্তিশালী করার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও পুনর্গঠন করা হয়েছে। ২০২৪ সালে দেশটির অর্থনীতিতে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে।