মিসরে চলমান জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে গতকালের মূল আলোচনার বিষয় ছিল ক্ষতিপূরণের বিষয়টি। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিনিধিরা গতকাল শার্ম-আল শেখে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করেছেন। সম্মেলনে চীনের জলবায়ুবিয়য়ক প্রতিনিধি ও কূটনীতিক শি জেনহুয়া এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, জলবায়ু সংকটের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির তহবিলে দরিদ্র দেশগুলোর জন্য অর্থ দিতে রাজি তাঁর দেশ। সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন দেশটির জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি জন কেরি।
শি বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর দেশের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তারপরও জলবায়ু বিষয়ে ধনী দেশগুলোর ক্ষেত্রে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে, তাতে সংহতি জানাচ্ছে চীন। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হলেও চীনকে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা উন্নয়নশীল দেশের তকমা দিয়ে থাকে।
দ্য গার্ডিয়ান-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরুর উদ্যোগ নেয় ওয়াশিংটন। চীনের কূটনীতিক দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার পথ বন্ধ করেছিল। সেই আলোচনার পথ আরও খোলা দরকার।
এর আগে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু্বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি বলেন, চীন যদি তাদের কার্বন নিঃসরণ আরও তিন দশক চালিয়ে যায়, তবে ক্ষতিপূরণ তহবিলে নিজস্ব তহবিল জোগানো উচিত। গতকালের সম্মেলনে কেরি ও শি এ বিষয়ে কথা বলেননি।
শি বলেন, ‘আমাদের সক্রিয় ও গঠনমূলক আচরণ ছিল। গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে জলবায়ুবিষয়ক আলোচনা বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে কপ-২৬ সম্মেলনে জলবায়ু বিষয়ে দুই দেশ পারস্পরিক সহযোগিতায় সম্মত হয়েছিল।
এদিকে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় পদক্ষেপের দাবিতে মিসরের শার্ম-আল শেখের জলবায়ু সম্মেলন কেন্দ্রের কাছে বিক্ষোভ করেছেন পরিবেশবাদীরা।