উড়োজাহাজ
উড়োজাহাজ

আফগানিস্তানে বিধ্বস্ত হওয়া রুশ উড়োজাহাজের ৪ যাত্রী জীবিত উদ্ধার

রাশিয়ার রাজধানী মস্কো যাওয়ার পথে আফগানিস্তানে বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটির চার যাত্রীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। রাশিয়ার উড়োজাহাজ চলাচল কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। তবে উড়োজাহাজে থাকা বাকি দুজন যাত্রীর কী অবস্থা, তা এখনো স্পষ্ট করা হয়নি। আফগানিস্তানে অবস্থিত রাশিয়ার দূতাবাসের বরাতে তারা এসব তথ্য জানিয়েছে।

তালেবানের প্রাদেশিক সরকারের দুজন কর্মকর্তা বলেছেন, উদ্ধার করা চারজন বর্তমানে তালেবান প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হেফাজতে রয়েছেন। ওই কর্মকর্তারা দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে তাঁদের উদ্ধার করেছেন।

ওই কর্মকর্তারা আরও বলেছেন, উড়োজাহাজের অপর দুজন যাত্রী নিহত হয়েছেন।
এদিকে তালেবান সরকারের শীর্ষ মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, জীবিত ব্যক্তিদের মধ্যে বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটির পাইলট রয়েছেন।

এক বিবৃতিতে জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ আরও বলেন, ইসলামিক আমিরাতের অনুসন্ধানী দল বাকি যাত্রীদের তল্লাশি করে সাহায্য করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

গতকাল শনিবার রাতে রাশিয়ার চার্টার্ড উড়োজাহাজটি আফগানিস্তানে নিখোঁজ হয় বলে জানিয়েছিল রাশিয়ার উড়োজাহাজ চলাচল কর্তৃপক্ষ। উড়োজাহাজটিতে ছয়জন যাত্রী ছিলেন। এদিকে আফগানিস্তানের স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, তারা একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়েছে।

রাশিয়ার বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, উড়োজাহাজটি চার্টার্ড অ্যাম্বুলেন্সের ফ্লাইট ছিল। এটি থাইল্যান্ডের পাতায়া থেকে ভারত ও উজবেকিস্তান হয়ে মস্কোর দিকে যাচ্ছিল। ফ্রান্সে তৈরি ফ্যালকন-১০ মডেলের উড়োজাহাজটি ১৯৭৮ সাল তৈরি করা হয়েছিল।

উড়োজাহাজটি বাদাখশান প্রদেশে বিধ্বস্ত হয়েছিল। বাদাখশান প্রদেশে হিন্দুকুশ পর্বতমালার অবস্থান। আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট নোশাকের অবস্থানও সেখানে। নোশাক পর্বতটি ২৪ হাজার ৫৮০ ফুট উঁচু।