মিয়ানমারে এ বছরের আগস্টে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে জান্তা সরকার। স্থগিত করা হয়েছে নির্বাচনের কার্যক্রম। সেই সঙ্গে দেশটিতে বাড়ানো হয়েছে চলমান জরুরি অবস্থার মেয়াদ।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান হয়। আটক করা হয় নোবেলজয়ী অং সান সু চিসহ দেশটির রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) গণতান্ত্রিক সরকারের শীর্ষ নেতাদের। তখন থেকে মিয়ানমারজুড়ে জরুরি অবস্থা চলছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে গতকাল সোমবার জান্তার পক্ষ থেকে দেওয়া একটি বিবৃতি সম্প্রচার করা হয়। এতে বলা হয়, দেশে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়বে এবং নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। মিয়ানমারজুড়ে চলমান সহিংসতার জেরে নির্বাচন বিলম্বিত হচ্ছে। দেশের অবস্থা স্থিতিশীল হলেই কেবল নির্বাচন দেওয়া হবে।
অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে জান্তা সরকার চলতি বছরের আগস্টে মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
মিয়ানমারে সবশেষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২০ সালের নভেম্বরে। ওই নির্বাচনে এনএলডি বিপুল ভোটে জয় পায়। তবে পরের বছরের ফেব্রুয়ারিতেই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। জান্তার পক্ষ থেকে এনএলডির বিরুদ্ধে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনা হয়।
গত জানুয়ারিতে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধনের জন্য ৬০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেয় জান্তা সরকার। তবে জান্তাবিরোধীদের দাবি, এ নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এ কারণে নিবন্ধন করেনি সু চির এনএলডি।
জান্তানিয়ন্ত্রিত মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশন গত মার্চে জানিয়ে দেয়, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন না করায় এনএলডিকে রাজনৈতিক দলের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাই দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।