উত্তর কোরিয়া সফলভাবে একটি সামরিক গোয়েন্দা কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের দাবি করেছে।
চলতি বছর উত্তর কোরিয়ার সামরিক গোয়েন্দা কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। তবে এবার তারা সফল হওয়ার কথা জানাল।
গত সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে পিয়ংইয়ংকে তার মহাকাশ কর্মসূচিতে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছিল মস্কো। এই প্রেক্ষাপটে সামরিক গোয়েন্দা কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণে সাফল্য দাবি করল উত্তর কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, ‘মালিগিয়ং-১’ নামের কৃত্রিম উপগ্রহটি গতকাল মঙ্গলবার রাতে উৎক্ষেপণ করা হয়। কৃত্রিম উপগ্রহটি সঠিকভাবে মহাকাশের কক্ষপথে প্রবেশ করেছে। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উন উৎক্ষেপণের এই কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, উত্তর কোরিয়ার পাঠানো কৃত্রিম উপগ্রহটি চালু আছে কি না, সে ব্যাপারে তারা এখনো নিশ্চিত নয়।
তবে দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, তারা মনে করে, কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর বিষয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে উত্তর কোরিয়া সহায়তা পেয়েছে।
কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের পর দক্ষিণ কোরিয়া ঘোষণা দিয়েছে, সামরিক উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে ২০১৮ সালে দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া একটি চুক্তির অংশবিশেষ তারা স্থগিত করবে। এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে তারা উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে নজরদারি আবার শুরু করবে।
উত্তর কোরিয়ার কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ অন্য দেশও নিন্দা জানিয়েছে।
পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির জেরে উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করে উত্তর কোরিয়ার যেকোনো উৎক্ষেপণ নিরাপত্তা পরিষদের সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবের পরিপন্থী। তিনি উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পথে ফিরে আসার জন্য আবারও আহ্বান জানিয়েছেন।
উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপকে জাতিসংঘের প্রস্তাবের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে হোয়াইট হাউস।
অন্যদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটি অত্যন্ত গুরুতর একটি ব্যাপার। জাপানের জনগণের নিরাপত্তার জন্য বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের।