উত্তর কোরিয়া গতকাল বৃহস্পতিবার স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। সিউলের সেনাবাহিনী বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র বড় ধরনের যৌথ সামরিক মহড়া শুরুর আগেই পিয়ংইয়ং নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করল।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের কয়েক ঘণ্টা পর দেশটির নেতা কিম জং–উন সেনাবাহিনীর একটি ইউনিটের সামরিক প্রদর্শনী দেখেন। তবে কিম কী ধরনের অস্ত্রের প্রদর্শনী দেখেছেন, কেসিএনএ সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
কয়েক দশকের মধ্যে উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সিউলের নিরাপত্তা সহযোগিতা প্রক্রিয়ায় অগ্রগতির পর পরমাণু শক্তিধর উত্তর কোরিয়া উসকানিমূলক নিষিদ্ধ অস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে।
সিউলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের প্রতিক্রিয়ায় গত বছর কিম উত্তর কোরিয়াকে অপরিবর্তনীয় পরমাণু শক্তির দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তিনি অস্ত্র বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে কৌশলগত পরমাণু অস্ত্রও রয়েছে।
সিউলের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বলেন, উত্তর কোরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দর শহর নামপো থেকে স্থানীয় সময় গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে স্বল্পপাল্লার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়। তিনি আরও বলেন, উত্তর কোরিয়া ওই অঞ্চল থেকে একই সঙ্গে একাধিক স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে ও নজরদারি বাড়িয়েছে বলেও ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
উত্তর কোরিয়া বরাবরই দাবি করে আসছে তাদের পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি আত্মরক্ষার জন্য। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক মহড়াকে হামলার পূর্বপ্রস্তুতি বলেও মনে করে দেশটি।