জাপান সাগরে নতুন করে একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির নেতা কিম জং-উন নৌবাহিনীর একটি ইউনিটে হাজির হয়ে এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করেছেন। আজ সোমবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বড় পরিসরে সামরিক মহড়া শুরুর প্রাক্কালে পিয়ংইয়ং এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে কেসিএনএ।
বলা হয়েছে, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা পর্যবেক্ষণের জন্য জাপান সাগরে (পূর্ব সাগর নামেও পরিচিত) নিজেদের নৌবাহিনীর একটি জাহাজে গেছেন কিম জং-উন। সেখানে তিনি কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের মহড়া পরিদর্শন করেছেন।
তবে কখন কিম জং-উন নিজেদের নৌবাহিনীর ইউনিট পরিদর্শন করেছেন এবং উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্রের ধরন সম্পর্কে প্রতিবেদনে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করেনি কেসিএনএ। তবে বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি আগে থেকে ঠিক করে রাখা লক্ষ্যে সফলভাবে আঘাত করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কেসিএনএর এই প্রতিবেদন অতিরঞ্জিত। এতে অনেক অসংগতিও রয়েছে। সিউলের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিষয়টি দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ঘটনা আগে থেকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
বার্ষিক উলচি ফ্রিডম শিলড সামরিক মহড়া শুরু করবে ওয়াশিংটন ও সিউল। যৌথ এই সামরিক মহড়া আজ থেকে শুরু হবে, চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। পারমাণবিক শক্তিসমৃদ্ধ উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে এই যৌথ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে।
জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর এমন সামরিক উদ্যোগের বিরোধিতা করে থাকে পিয়ংইয়ং। এমন যৌথ সামরিক মহড়াকে উত্তর কোরিয়া নিজেদের ওপর আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচনা করে। এর আগেও ‘শত্রুদের’ এমন উদ্যোগের জবাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে দেশটি।