সিঙ্গাপুরে মাদক পাচারের দায়ে ৪৫ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
সারিদেউই বিনতে জামানি নামের এই নারীর মৃত্যুদণ্ড আজ শুক্রবার কার্যকর করা হয়। প্রায় ২০ বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনো নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল সিঙ্গাপুর। দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সিঙ্গাপুরের কেন্দ্রীয় মাদকদ্রব্য ব্যুরো এক বিবৃতিতে বলেছে, ২৮ জুলাই জামানির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
জামানির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করতে নগররাষ্ট্রটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। কিন্তু এই আবেদন উপেক্ষা করে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর যুক্তি ছিল, মাদকসংক্রান্ত অপরাধ প্রতিরোধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর, এমন কোনো প্রমাণ নেই।
প্রায় ৩০ গ্রাম হেরোইন পাচারের দায়ে ২০১৮ সালে জামানিকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেন দেশটির একটি আদালত। সিঙ্গাপুরে ১৫ গ্রামের বেশি হেরোইন পাচার করলে মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিধান রয়েছে।
সিঙ্গাপুরের কেন্দ্রীয় মাদকদ্রব্য ব্যুরোর বিবৃতিতে বলা হয়, মাদক পাচারের মামলায় জামানির বিচারের ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী সব ধরনের প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়েছিল।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন জামানি। ২০২২ সালের ৬ অক্টোবর তাঁর আপিল খারিজ করে দেন আপিল আদালত।
সিঙ্গাপুরের কেন্দ্রীয় মাদকদ্রব্য ব্যুরো জানায়, জামানি দেশটির প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর ক্ষমার আবেদনও খারিজ হয়।
সিঙ্গাপুরের কারা কর্তৃপক্ষ এএফপিকে জানিয়েছে, নগররাষ্ট্রটিতে ২০০৪ সালের পর এই প্রথম কোনো নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো।
মাদক পাচারের দায়ে ২০০৪ সালে ইয়েন মে ওয়েন নামের ৩৬ বছর বয়সী এক নারীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছিল।
প্রায় দুই বছরের বেশি সময়ের বিরতির পর ২০২২ সালের মার্চ থেকে আবার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর শুরু করে সিঙ্গাপুর। এরপর দেশটিতে মোট ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো।