ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান আজ সোমবার জাপান সফরে গেছেন। ২০১৯ সালের পর ইসলামি প্রজাতান্ত্রিক দেশটির কোনো শীর্ষ কূটনীতিকের এটাই প্রথম জাপান সফর। জি-৭ ভুক্ত কোনো দেশে ইরানের কারও সফরের ঘটনা বিরল।
তবে হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান কেন জাপানে গেছেন, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি জি-৭–এর সভাপতি জাপান। এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়াকে অস্ত্র না নিতে ইরানের ওপর চাপ তৈরি করবে জাপান। কিয়েভের সেনাবাহিনীর ভাষ্য, গত মাসে ইউক্রেনের ওদেসা অঞ্চলে ইরানের তৈরি বেশ কিছু সশস্ত্র ড্রোন ধ্বংস করেছে তারা।
হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হায়াশি ইয়োশিমাসার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। টোকিওতে মুখোমুখি বৈঠককে দুজনই স্বাগত জানিয়েছেন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে মতবিনিময়ের এই সুযোগ পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ।’
জাপানের জিজি প্রেসের খবরে বলা হয়, বৈঠকের আগে আমির-আবদুল্লাহিয়ান টোকিওতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি ইরান রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে, এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা কোনো যুদ্ধে কারও পক্ষ নেব না।’ তিনি আরও বলেন, ইরান কখনোই কোনো দেশকে ইউক্রেনে ব্যবহার করতে ড্রোন সরবরাহ করেনি।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টিবিএস জানিয়েছে, আমির-আবদুল্লাহিয়ান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। চ্যানেলটি নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রাশিয়ার কাছে অস্ত্র রপ্তানির বিষয়টি উত্থাপন করবে জাপান।
এদিকে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হায়াশি ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিষয়ে জাপানের অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করে ইরানকে গঠনমূলক পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়েছে’।
টোকিওর গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ওয়াশিংটনের সঙ্গে তেহরানের সম্পর্কে টানাপোড়েন চললেও জাপান ও ইরানের মধ্যে ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। জাপানে প্রধান তেল রপ্তানিকারক দেশ ইরান। কিন্তু গত কয়েক বছরে দেশটির ওপর যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় জাপানে ইরানের তেল রপ্তানি ব্যাপক কমে গেছে।