চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে কিন গ্যাংকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক মাস লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিলেন তিনি। আজ মঙ্গলবার কিন গ্যাংকে পদচ্যুত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের স্বাক্ষরিত এক আদেশে কিন গ্যাংকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সিনহুয়া। তবে কেন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা বলা হয়নি। এদিকে মঙ্গলবার চীনের শীর্ষ আইনপ্রণেতাদের ভোটাভুটিতে দেশটির শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই–কে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৫ জুন রাশিয়ার পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী আন্দ্রে রুদেঙ্কোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন কিন গ্যাং। এর পর থেকে তাঁকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি। তাঁর ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরেই জল্পনা ছিল। অনেকের ধারণা ছিল, তাঁকে হয় পদচ্যুত করা হয়েছে, না হয় তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে।
এদিকে নতুন দায়িত্ব পাওয়া ওয়াং ই আগেও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ডিসেম্বরে তাঁকে সরিয়ে কিন গ্যাংকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়। চীনা প্রেসিডেন্ট সিয়ের বিশ্বাসভাজন হিসেবেই দেখা হতো কিনকে। এই সম্পর্কের জেরেই চীনের কূটনীতিতে তাঁর দ্রুত উত্থান হয়েছিল বলে মনে করেন বিশ্লেষকদের অনেকে।
যদিও কয়েক মাস ধরেই কিন গ্যাংয়ের অনেক দায়িত্ব ওয়াং ইর হাতে গিয়েছিল। চীনের এই কূটনীতিক দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির পররাষ্ট্রনীতি–বিষয়ক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারি পদমর্যাদার দিক দিয়েও তিনি কিন গ্যাংয়ের ওপরে রয়েছেন।
কিন গ্যাংকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং সাংবাদিকদের গতকাল বলেন, তাঁর হাতে এ নিয়ে ‘কোনো তথ্য’ নেই। আর চীনের কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর আগে অবশ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ‘শারীরিক কারণে’ কিন গ্যাং জনসমক্ষের আড়ালে রয়েছেন।