সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন লাওসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেলিয়ামক্সে কোমাসিথ। লাওসের ভিয়েনতিয়েনে আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৫৭তম বৈঠকে, ২৭ জুলাই ২০২৪
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন লাওসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেলিয়ামক্সে কোমাসিথ। লাওসের ভিয়েনতিয়েনে আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৫৭তম বৈঠকে, ২৭ জুলাই ২০২৪

আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে দক্ষিণ চীন সাগর ও মিয়ানমার নিয়ে আলোচনা

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোটের (আসিয়ান) পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগর ও মিয়ানমারের সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেছেন। জোটের মিত্র কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও এতে যোগ দিয়েছেন। আজ শনিবার লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়েনে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ভিয়েনতিয়েনের এই বৈঠকে আসিয়ানের সদস্যদেশগুলোর পাশাপাশি জোটের মিত্রদেশ যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও যোগ দিয়েছেন। এই অঞ্চলে নিজেদের সম্পর্ক বাড়াতে ও গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে এসব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলোচনা করছেন।

বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন অভিযোগ করেন, বেইজিং দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইনের বিরুদ্ধে ‘উসকানিমূলক ও বেআইনি পদক্ষেপ নিয়েছে’।

তবে বৈঠকের পর চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই–র সঙ্গে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা রয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠক হয়েছে কি না, নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের জন্য ওয়াশিংটন ও বেইজিং জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এ জন্য তারা আসিয়ানের বৈঠকগুলোকে কাজে লাগায়।

দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে ফিলিপাইন ছাড়া ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও ব্রুনেইয়ের সঙ্গেও চীনের বিরোধ রয়েছে।

এদিকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহায়তা ও মিয়ানমারের মানবিক সংকট নিয়েও অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আলোচনা করবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে।

বৈঠকে মিয়ানমার সংকট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেন, ‘সংঘাতের কারণে আমরা (মিয়ানমারে) অস্থিতিশীলতা, অনিরাপত্তা, মৃত্যু ও ভোগান্তি বাড়তে দেখছি।’ তিনি মিয়ানমারে ক্রমেই তীব্র হওয়া গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটাতে দেশটির সামরিক শাসকদের প্রতি আহ্বান জানান। এবং আসিয়ান প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা মেনে চলতে অনুরোধ করেন।

আসিয়ানের আজকের বৈঠক থেকে বড় ধরনের যৌথ কোনো ঘোষণা আসার সম্ভাবনা নেই। কারণ, বিভিন্ন ইস্যুতে দেশগুলোর অবস্থান ভিন্ন ভিন্ন। তা ছাড়া দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আধিপত্য কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়ে দেশগুলোর মধ্যে কোনো ঐকমত্য নেই।