থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রাথমিক দৌড়ে হেরে গেছেন পিটা

মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাত
 ছবি: রয়টার্স

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রাথমিক দৌড়ে হেরে গেছেন মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির (এমএফপি) নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাত। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের সদস্যদের কাছ থেকে অর্ধেকের বেশি প্রয়োজনীয় ভোট পেতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।

পিটা এ লড়াইয়ে অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেও প্রয়োজনীয় ভোট তাঁর পক্ষে পড়েনি। কারণ, বড় একটি অংশ গতকাল বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে উপস্থিতই হয়নি। যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে প্রায় ২০০ জন ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন। ফলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেছে নিতে আগামী সপ্তাহে আবার পার্লামেন্টে ভোট গ্রহণ হতে পারে। পিটা আবার মনোনয়ন পেলে নতুন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।

এদিকে প্রথম দফার ভোটে হেরে যাওয়ার পর পিটা এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থিতা থেকে সরে যাবেন না। এ ক্ষেত্রে ভোট কাড়তে তাঁর দল নতুন কৌশল অবলম্বন করবে।

৭৪৯ সদস্যের দুই কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টে পিটার নেতৃত্বাধীন ৮–দলীয় জোটের প্রয়োজন ৩৭৬ ভোট। এখন পর্যন্ত ৩১২টি আসন নিশ্চিত করতে পেরেছেন বিরোধী দল এমএফপির নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাত। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য তাঁর প্রয়োজন আরও ৬৪টি ভোট। এই ভোট তাঁকে নিম্নকক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো থেকে অথবা সেনা-সমর্থিত সরকারের নিয়োগ দেওয়া সিনেট সদস্যদের কাছ থেকে পেতে হবে।

গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিস্ময়কর সাফল্য পায় পিটার দল এমএফপি। তারুণ্যনির্ভর দলটি ৫০০ আসনের নিম্নকক্ষে সর্বোচ্চ ১৫১ আসন পেয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪১ আসনে জয় পায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাসিত নেতা থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার দল ফেউ থাই। এই দুই দলের কাছে ধরাশায়ী হয় সেনা-সমর্থিত ক্ষমতাসীন দল ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টি।

গতকালের ভোট ছিল পিটার জন্য কঠিন রাজনৈতিক পরীক্ষা। হেরে যাওয়াটি ছিল তাঁর জন্য সর্বশেষ আঘাত। গত বুধবার পিটা লিমজারোয়েনরাতকে এমপি হিসেবে অযোগ্য ঘোষণার সুপারিশ করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালতে এ সুপারিশ করা হয়।

নির্বাচন কমিশন বলছে, এমএফপির নেতা পিটার বিরুদ্ধে একটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে মালিকানায় থাকার অভিযোগের ভিত্তি পাওয়া গেছে। এর মাধ্যমে নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করেছেন তিনি। ফলে ১৪ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ‘অযোগ্য’ ছিলেন।