ফিলিপাইনে শান্তিতে নোবেলজয়ী সাংবাদিক মারিয়া রেসাকে কর ফাঁকির মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন দেশটির আদালত। একই মামলায় তাঁর প্রতিষ্ঠান র্যাপলারকেও খালাস দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রেসার মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়াকে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
র্যাপলারের প্রতিষ্ঠাতা মারিয়া রেসা এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর ৩৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারত। আজ বুধবার মামলার রায় ঘোষণার পর রেসা বলেন, ‘আজ তথ্যের জয় হয়েছে, সত্যের জয় হয়েছে, ন্যায়বিচারের জয় হয়েছে।’
২০১৮ সালে রেসা এবং র্যাপলারের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির মামলা করে ফিলিপাইন সরকার। ফিলিপাইনে রদ্রিগো দুতার্তের নেতৃত্বাধীন সাবেক সরকার কর ফাঁকির মামলাটি দায়ের করেছিল। অভিযোগ করা হয়েছিল, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে র্যাপলার মূলধন জোগাড় করছে। আর এর জন্য তাঁরা কোনো কর পরিশোধ করছে না।
ফিলিপাইনের বিচার বিভাগ বলেছে, বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ওমিদিয়ার নেটওয়ার্ক এবং নর্থ বেজ মিডিয়াকে র্যাপলার লেনদেনের যে রসিদটি দিয়েছে, সে অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির ১৪১৮ লাখ ৬০ হাজার পেসো পরিমাণ করযোগ্য আয় হয়েছে। ২০১৫ সালে তারা এ আয় প্রদর্শন করেনি।
র্যাপলার কর্তৃপক্ষ এবং রেসা অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন। তাঁরা বলছেন, বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈধ পথে আর্থিক লেনদেন হয়েছে। এখানে কোনো করযোগ্য আয় নেই।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ফিলিপাইন সরকার র্যাপলারের কার্যক্রম পরিচালনার সনদটিও প্রত্যাহার করে নেয়। তখন অভিযোগ করা হয়, র্যাপলারের সঙ্গে দুই মার্কিন বিনিয়োগকারী থাকার বিষয়টি সংবিধানের একটি ধারার লঙ্ঘন। সংবিধানে সংবাদমাধ্যমের মালিকানা শুধু ফিলিপাইনের নাগরিকদের কাছে সীমিত রাখার কথা বলা আছে।
এর আগে রেসাকে মানহানির মামলায়ও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। ২০২০ সালের জুনে ওই মামলায় তাঁর ৬ বছরের কারাদণ্ড হয়। পরবর্তী সময় তিনি জামিনে মুক্ত হন।