গহিন জঙ্গলে সামরিক প্রশিক্ষণ নেন মিয়ানমারের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বিদ্রোহীরা
গহিন জঙ্গলে সামরিক প্রশিক্ষণ নেন মিয়ানমারের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বিদ্রোহীরা

মিয়ানমারের কাচিনে সেনাবাহিনীর দুটি চৌকি দখল বিদ্রোহীদের

মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যের হপাকান্ত ও মানসি শহরে দেশটির সামরিক বাহিনীর দুটি চৌকির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) ও কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) বিদ্রোহীরা। আজ মঙ্গলবার কেআইএ জানিয়েছে, তাদের ও পিডিএফের যৌথ হামলায় গত এক সপ্তাহের মধ্যে এ দুটি চৌকি দখল করা হয়েছে।

মিয়ানমারে ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থিত জাতীয় ঐক্যের সরকারের (এনইউজি) সামরিক শাখা পিডিএফ। আর কেআইএর সামরিক শাখা ব্রিগেড-৯। এই দুই শাখার যোদ্ধারা ২ ফেব্রুয়ারি হপাকান্ত-কামাইং সড়কের লোন খিন শহরে সামরিক বাহিনীর একটি চৌকিতে হামলা চালান। পরদিন চৌকিটি তাঁরা দখল করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যক্তিরা।

লোন খিন শহরের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘নাম তিন’ নামের ওই চৌকিতে থাকা জান্তা সেনাদের কয়েক সপ্তাহ ধরে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলেন বিদ্রোহীরা। সেনারা চৌকি থেকে বের হতে পারছিলেন না। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও আনা-নেওয়া করতে পারছিলেন না। তাঁদের এমন দুর্বল অবস্থার মধ্যে চৌকিটি দখল করে নেন বিদ্রোহীরা।

ওই চৌকি দখলের সময় কতজন নিহত হয়েছেন, তা জানায়নি কেআইএ। তবে গোষ্ঠীটির কয়েকটি সূত্র ও স্থানীয় মানুষেরা জানিয়েছেন, চৌকি নিয়ন্ত্রণের লড়াইয়ে জান্তা বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে কাচিনভিত্তিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, ২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ভামো অঞ্চলের মানসি শহরে জান্তা বাহিনীর আরেকটি চৌকি দখল করেছেন কেআইএ ও পিডিএফ সদস্যরা। আগের দিন ১ ফেব্রুয়ারি ওই চৌকিতে হামলা চালিয়েছিলেন তাঁরা। দুটি চৌকিতে হামলা চালাতে কামানের গোলা ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে।

এর আগে গত ২০ জানুয়ারি কাচিনের হপাকান্ত শহরে একটি পুলিশ কার্যালয় ও  সামরিক বাহিনীর দুটি চৌকি দখল করে কেআইএ ও পিডিএফ। ওই চৌকিগুলো থেকে পলাতক সেনাদের পরের কয়েক দিনে আটক করেন বিদ্রোহীরা।