সুপার টাইফুন ইয়াগির আঘাত এবং এর প্রভাবে হওয়া ভারী বৃষ্টি, ভূমিধস ও বন্যায় ভিয়েতনামে অন্তত ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো নিখোঁজ আছেন ৫৪ জন।
গত শনিবার ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানে টাইফুন ইয়াগি। গতকাল মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিয়েতনামের কিছু ছবি ও ভিডিও দেখা যায়। ওই সব ছবি ও ভিডিওতে উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি এলাকায় বাড়ির ছাদে লোকজনকে আশ্রয় নিতে দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ মরিয়া হয়ে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
তিন দশকের মধ্যে ভিয়েতনামে আঘাত হানা টাইফুনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ইয়াগি। ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলজুড়ে ইয়াগির তাণ্ডব চলে, বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় প্রায় ১৫ লাখ মানুষ।
ঝড়ের প্রভাবে সোমবার ভিয়েতনামে একটি ব্যস্ত সেতু ধসে পড়ে। ঝড়টি এখন দুর্বল হয়ে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
ঝড়ের প্রভাবে হওয়া বৃষ্টিতে নদীর পানি বেড়ে আশপাশের এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভিয়েতনামে নদীর পারের বাসিন্দা ৫০ বছর বয়সী ফান থি তুয়েত। তিনি এএফপিকে বলেন, ‘আমি কখনো পানি এতটা উঁচুতে উঠতে দেখিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি সবকিছু হারিয়েছি, সব গেছে। জীবন বাঁচাতে আমরা উঁচু জায়গায় চলে এসেছি। আমরা আমাদের সঙ্গে কোনো আসবাব আনতে পারিনি। এখন সব পানির নিচে।’
ঝড়ের পর ভিয়েতনামের উত্তরের ১৮টি প্রদেশের ৪০১টি প্রশাসনিক এলাকায় বন্যা ও ভূমিধসের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
থাই এনগুয়েন ও ইয়েন বাই প্রদেশের কিছু অঞ্চলে প্রায় সব একতলা বাড়ি গতকাল মঙ্গলবারের ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় তলিয়ে গেছে। বাসিন্দারা বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়ে সাহায্যের অপেক্ষায় আছেন।
নিহত ও নিখোঁজ ছাড়াও বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৭৫২ জন আহত হয়েছেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।