মিয়ানমারের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র যোদ্ধারা এখন দেশটির অনেক এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে
মিয়ানমারের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র যোদ্ধারা এখন দেশটির অনেক এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে

রাখাইনে মিয়ানমার বাহিনীর আরও দুই ঘাঁটি দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ম্রাউক ইউ ও কিয়াউকতাও শহরে জান্তা বাহিনীর আরও দুটি ঘাঁটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার তথ্য জানিয়েছে লড়াইরত আরাকান আর্মি (এএ)। সশস্ত্র এ বিদ্রোহী গোষ্ঠী জানিয়েছে, রাজ্যের অন্য কয়েকটি এলাকায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের তুমুল লড়াই চলছে।

আরাকান আর্মি জানিয়েছে, বেশ কয়েক দিন লড়াইয়ের পর গতকাল সোমবার সকালে ম্রাউক ইউ শহরে জান্তার পদাতিক বাহিনীর একটি ব্যাটালিয়নের (লাইট ইনফ্যানট্রি ব্যাটালিয়ন-এলআইবি ৩৭৮) সদর দপ্তর দখল করেছে তারা। এর আগে গত মঙ্গলবার এর কাছের এলআইবি ৫৪০ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তর দখল করা হয়। এ ছাড়া শহরের এলআইবি ৩৭৭-এর ঘাঁটিতে হামলা চালানো হচ্ছে।

আরাকান আর্মির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এলআইবি ৩৭৮, ৫৪০ ও ৩৭৭—পদাতিক বাহিনীর এই তিন ব্যাটালিয়নের ঘাঁটি থেকে ম্রাউক ইউ শহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকা ও আশপাশের গ্রামগুলোয় গোলাবর্ষণ করা হচ্ছিল।

এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি কিয়াউকতাও শহরে জান্তা বাহিনীর ব্যাটালিয়ন এলআইবি ৩৭৬-এর ঘাঁটি দখল করেছিল আরাকান আর্মি। এ ছাড়া রাখাইনের রাথেডং, পোনাগিউন, রামরি ও আন শহরে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। সেখানে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সঙ্গে তাঁদের লড়াই চলছে।

বাংলাদেশ সীমান্তে রাখাইনের মংডু শহরে সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন চৌকিতে হামলা চালাচ্ছে আরাকান আর্মি। এর জেরে গত রোববার থেকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সেনাসদস্য মিলিয়ে দুই শতাধিক ব্যক্তি পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি জানিয়েছে, গতকাল মিয়ানমারের প্রায় ১০০ জন সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন।

বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি মর্টার শেলের আঘাতে এক বাংলাদেশি ও এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার জন্য জান্তা বাহিনীকে দায়ী করেছে আরাকান আর্মি।

গত ১৩ নভেম্বর থেকে রাখাইনের উত্তরাঞ্চল ও পাশের চিন রাজ্যের পালেতওয়া শহরে জান্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালাচ্ছে আরাকান আর্মি। গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, এসব অঞ্চলে জান্তা বাহিনীর প্রায় ১৭০টি অবস্থান দখলে নিয়েছে তারা।