শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ
শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ

বিচিত্র

ইঁদুরের কারণে তিন দিন ওড়েনি উড়োজাহাজ

শ্রীলঙ্কায় একটি ইঁদুরের কারণে তিন দিন ধরে রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ বসে ছিল। এখন অবশ্য উড়োজাহাজটি আবার আকাশে পাখা মেলেছে। তবে এরই মধ্যে এই বিলম্বের প্রভাব পড়েছে পুরো এয়ারলাইনসের সময়সূচিতে।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোর থেকে আসা শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনসের এয়ারবাস এ৩৩০ ফ্লাইটে একটি ইঁদুর চোখে পড়ে। এরপরই শুরু হয় এটিকে খোঁজাখুঁজি; পাশাপাশি এটি উড়োজাহাজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু কেটে ফেলেছে কি না, তা-ও খুঁজে বের করতে চলে তৎপরতা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এয়ারলাইনসের এক কর্মকর্তা বলেন, উড়োজাহাজটি কলম্বোয় তিন দিন ধরে বসে ছিল। ইঁদুরটির কী হয়েছে, তা নিশ্চিত না হয়ে উড়োজাহাজটি পরিচালনা করা যাচ্ছিল না। পরে এটিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এয়ারলাইনসটি ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ১৮০ কোটি মার্কিন ডলার লোকসান দিয়েছে। এটির বহরে ২৩টি উড়োজাহাজ রয়েছে। তবে এর মধ্যে তিনটি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বসে আছে। কারণ, পড়ে থাকা এসব উড়োজাহাজের ইঞ্জিন পরীক্ষা করানোর মতো পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা এয়ারলাইনস প্রতিষ্ঠানের হাতে নেই।

এভিয়েশন–মন্ত্রী নিমাল সিরিপালা দা সিলভা সাংবাদিকদের বলেন, ঋণের বোঝায় জর্জরিত এয়ারলাইনস কোম্পানিটি কিনে নিতে বেশ কিছু বিনিয়োগকারী আগ্রহী ছিলেন। তবে এ ঘটনায় তাঁদের উৎসাহে কিছুটা ভাটা পড়তে পারে বলে মনে হচ্ছে।

এর আগেও শ্রীলঙ্কার সরকার কয়েক দফায় লোকসানে থাকা এয়ারলাইনসটি বিক্রির চেষ্টা করে। তবে তাদের সেসব চেষ্টা সফল হয়নি।

অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা গত বছরের মার্চে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে ২৯০ কোটি ডলারের একটি ঋণচুক্তিতে পৌঁছায়। সে সময় আইএমএফ জোর দিয়ে বলেছিল, এ ধরনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয় বাজেটের ওপর ভারী বোঝার মতো।