এক বছরের বেশি সময় পর চীনের মূল ভূখণ্ডে ফিরেছেন আলিবাবা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। আজ সোমবার তিনি দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের হাংঝোউ শহরে একটি বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। অনলাইন ও সংবাদমাধ্যমে সেই ছবি ছড়িয়ে পড়লে জ্যাক মার চীনে ফেরার খবর জানা যায়।
জ্যাক মা হাংঝোউ শহরের উনগু স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন। ২০১৭ সালে আলিবাবার অর্থায়নে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
বিদ্যালয়টি পরিদর্শনের সময় ধনকুবের জ্যাক মা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থা ও আলোচিত চ্যাটজিপিটি প্রযুক্তি নিয়ে কথা বলেন।
জানা গেছে, হংকংয়ে যাত্রাবিরতি শেষে চীনের মূল ভূখণ্ডে ফিরেছেন জ্যাক মা। হংকংয়ে তিনি তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। চিত্রকর্মের একটি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেছেন। চিত্রকলা ও শিল্পকর্মের বিষয়ে জ্যাক মার আগ্রহ অনেক পুরোনো।
আলিবাবার চেয়ারম্যানের পদ থেকে অবসর নিয়েছেন জ্যাক মা। ২০১৯ সালে নিজের ৫৫তম জন্মদিনে তিনি এ পদ ছাড়েন। এর পর থেকে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ শুরু করেন। কৃষিপ্রযুক্তি নিয়ে জ্ঞান অর্জন করা তাঁর এ বিদেশ ভ্রমণের উদ্দেশ্য।
তবে মাঝে অনেকটা সময় নিরুদ্দেশ ছিলেন জ্যাক মা। তাঁর অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। এ নিয়ে ব্যাপক জল্পনাকল্পনা শুরু হয়েছিল।
এর মাঝে ২০২২ সালের নভেম্বরে খবর প্রকাশিত হয়, জ্যাক মা জাপানের টোকিওতে রয়েছেন। ছয় মাস ধরেই তিনি টোকিওতে বসবাস করছিলেন।
ওই সময় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল, বেইজিং প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার পরপরই জ্যাক মা টোকিওতে আত্মগোপনে চলে যান। এমনকি প্রায়ই তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলে সফর করেছেন। জ্যাক মার অবস্থান সম্পর্কে জানেন, এমন ব্যক্তিরাই এসব তথ্য জানান।
জ্যাক মা চীনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ছিলেন। প্রযুক্তি খাতেও ছিলেন দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী উদ্যোক্তা। কিন্তু বিপত্তি বাধে, তিনি যখন চীন সরকারের সমালোচনা শুরু করেন। সরকারের সমালোচনার পর থেকে জ্যাক মার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয় বেইজিং। বাড়াতে থাকে নজরদারি।
এই পরিস্থিতিতে দৃশ্যপট থেকে আড়ালে যেতে থাকেন জ্যাক মা। ধারণা করা হয়, চীনের আর্থিক খাতের সমালোচনা করার পর থেকেই জ্যাক মা ও তাঁর প্রতিষ্ঠান সরকারি চাপের মুখে পড়ে। যদিও আড়ালে চলে যাওয়ার আগে বড় বড় সম্মেলনে অংশ নিতেন জ্যাক মা।