২০ বছর পর দেশের মাটিতে ফিরলেন আবদুল করিম (বায়ে) ও আবদুল জহির (মাঝে)। কাবুল বিমানবন্দর, আফগানিস্তান, ১২ ফেব্রুয়ারি
২০ বছর পর দেশের মাটিতে ফিরলেন আবদুল করিম (বায়ে) ও আবদুল জহির (মাঝে)। কাবুল বিমানবন্দর, আফগানিস্তান, ১২ ফেব্রুয়ারি

গুয়ানতানামো বেতে জেল খেটে দেশে ফিরলেন ২ আফগান

গ্রেপ্তারের ২০ বছর পর সাবেক দুই বন্দী আজ সোমবার নিজ দেশ আফগানিস্তানে ফিরেছেন। ২০১৭ সাল পর্যন্ত তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালিত গুয়ানতানামো বে কারাগারে বন্দী ছিলেন। এরপর তাঁরা ওমানে গৃহবন্দী ছিলেন।

দেশে ফেরা দুজন হলে আবদুল করিম ও আবদুল জহির। আবদুল জহিরের ছেলে মোহাম্মদ ওসমান এবং বিমানবন্দরের কর্মীর ভাষ্য, ওমান থেকে সোমবার সকালে তাঁরা কাবুলে পৌঁছান। যুক্তরাষ্ট্র ২০১৭ সালে তাঁদের ওমানে পাঠায়। এর পর থেকে তাঁরা সেখানে গৃহবন্দী ছিলেন।

তালেবান কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ওসমান বলেন, আল্লাহর দয়ায় ও ইসলামিক আমিরাতের নেতাদের চেষ্টায় তাঁর বাবা ফিরে আসতে পেরেছেন।

৯/১১-এর পরবর্তী সময়ে ‘জঙ্গিদের’ আটক রাখতে ২০০২ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এই কারাগার চালু করেন। দক্ষিণ কিউবায় অবস্থিত মার্কিন সেনাঘাঁটিতে কারাগারটি অবস্থিত। এই কারাগারে বন্দীদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন করা হয় বলে মার্কিন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। যেখানে অনেককে বিনা অভিযোগে আটকে রাখা হয়। এমনকি কেন আটকে রাখা হয়েছে, তা জানারও আইনি ক্ষমতা দেওয়া হয় না তাঁদের।

দুই বন্দির দেশে ফেরা উপলক্ষে কাবুল বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আফগানিস্তান, ১২ ফেব্রুয়ারি

আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল মতিন এবং মার্কিন নথিপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০০২ সালে জহিরকে সেই কারাগারে নেওয়া হয়। আর করিমকে ২০০৩ সালে। তিনি পাকিস্তানে বন্দী হয়েছিলেন। পরে তাঁকে মার্কিন হেফাজতে নেওয়া হয়।

২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর ‘কথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। এর অংশ হিসেবে সন্দেহভাজন শত শত লোককে কারাগারটিতে আটকে রাখা হয়। এই দুজনও তাঁদের অংশ ছিল।