টনি চাং
টনি চাং

আতঙ্কে হংকং থেকে পালিয়ে যান স্বাধীনতাকামী নেতা চাং, আশ্রয় চান যুক্তরাজ্যে

হংকংয়ের স্বাধীনতাপন্থী সংগঠনের সাবেক নেতা টনি চাং বৃহস্পতিবার বলেছেন, আতঙ্ক ও অব্যাহত নজরদারির কারণে তিনি হংকং ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে গেছেন। সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন তিনি।

চীনের জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় ২০২১ সালে টনি চাংয়ের কারাদণ্ড হয়েছিল।

হংকংকে চীন থেকে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টা ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ২০২১ সালের নভেম্বরে টনি চাংকে ৪৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তখন তাঁর বয়স ছিল ২০ বছর। জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় চাংয়ের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ করা হয়েছিল।

কয়েক মাস ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলার পর বিক্ষোভকারীদের দমনে ২০২০ সালে হংকংয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইন কার্যকর করে বেইজিং। এ আইনের আওতায় বিদ্রোহ, বিচ্ছিন্নতা, বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশ ও চরমপন্থার মতো অপরাধের সাজা যাবজ্জীবন পর্যন্ত হয়ে থাকে।

বৃহস্পতিবার ফেসবুকে চাং লিখেছেন, ‘ছয় মাস ধরে কোনো আয়-উপার্জন নেই। জাতীয় নিরাপত্তা পুলিশের কর্মকর্তারা আমাকে তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য জোরজবরদস্তি ও প্ররোচিত করছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত আমি মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়েছি। এ সময়ে আমি পশ্চিমা ও চীনা চিকিৎসকদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছি। তাঁরা সবাই আমাকে বলেছেন, মানসিক চাপ ও অন্যান্য মনস্তাত্ত্বিক কারণে আমার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়েছে।’

চাং ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, ২০২৩ সালের জুনে তিনি আটকাবস্থা থেকে মুক্তি পান। ভালো আচরণের কারণে তাঁর আটকের মেয়াদ কমিয়ে আনা হয়েছিল।

হংকংয়ের স্বাধীনতাপন্থী সংগঠন স্টুডেন্টলোকালিজমের সাবেক নেতা চাং। নিরাপত্তা আইন কার্যকর হওয়ার আগে ২০২০ সালে সংগঠনটি বিলুপ্ত হয়ে যায়।

সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশের অধীন থাকা হংকংয়ের নিয়ন্ত্রণ ১৯৯৭ সালে চীনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কথা ছিল, অঞ্চলটি হবে উচ্চ মাত্রায় স্বায়ত্তশাসিত। তবে গণতন্ত্রপন্থী কর্মী ও পশ্চিমা দেশগুলো অভিযোগ করে থাকে যে চীন সে প্রতিশ্রুতি রাখেনি। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে বেইজিং।