আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একজন বিশিষ্ট আফগান আলেম আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম শেইখ রহিমুল্লাহ হাক্কানি। তিনি তালেবানকে সমর্থন করতেন এবং নারী শিক্ষার পক্ষে ছিলেন বলে বিবিসির খবরে বলা হয়।
তালেবানের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, একজন আততায়ী কৃত্রিম পায়ের ভেতরে ভরে বিস্ফোরক নিয়ে এসে এ বিস্ফোরণ ঘটান। ধর্মীয় নেতা রহিমুল্লাহকে লক্ষ্য করেই এ বিস্ফোরণ ঘটনা হয়েছে।
ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠী বোমা হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে, তাঁর দপ্তরের ভেতরেই এ বিস্ফোরণ ঘটেছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, কাবুলে একটি ইসলামিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
গত বছর তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে দেশটিতে নিহত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি সর্বোচ্চ স্তরের একজন।
শেখ হাক্কানি ছিলেন আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের সমর্থক এবং জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশের (আইএস-কে) একজন বিশিষ্ট সমালোচক। আইএস-কে আইএসের একটি আঞ্চলিক সহযোগী, যারা আফগানিস্তানে কাজ করে এবং তালেবানের শাসনের বিরোধিতা করে।
একজন জ্যেষ্ঠ তালেবান কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এটি আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাতের জন্য অনেক বড় ক্ষতি। কর্তৃপক্ষ এ হামলার পেছনে কারা রয়েছে, তা তদন্ত করছে।
এই আলেম নারী শিক্ষাকে সমর্থন জানিয়ে একটি ফতোয়া বা ধর্মীয় ডিক্রি জারি করেছিলেন। এ বছরের শুরুর দিকে বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আফগান নারী ও মেয়েদের শিক্ষার অধিকার থাকা উচিত বলে যুক্তি দেখিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘শরিয়াহতে [আইন] নারীশিক্ষার অনুমতি নেই, এটা বলার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
সর্বশেষ ২০২০ সালে আইএস পাকিস্তানের পেশোয়ার শহরের একটি ধর্মীয় বিদ্যালয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। এতে কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়। সেই হামলার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন শেইখ রহিমুল্লাহ হাক্কানি।