দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক–ইওলের বিরুদ্ধে আবার অভিশংসন চেষ্টা চালাবে দেশটির প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি (ডিপি)। গত সপ্তাহে দেশটিতে সামরিক শাসন জারির চেষ্টার কারণে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গতকাল রোববার এ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান ডিপি নেতা লি জে মুং।
সামরিক আইন জারি এবং জনগণের চাপের মুখে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করার পর প্রেসিডেন্ট ইউনের অভিশংসনের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে মানুষ। গতকাল শনিবার বিরোধী দল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টে হওয়া এ-সংক্রান্ত ভোটে উতরে গেছেন তিনি। গত মঙ্গলবার দেশজুড়ে ওই সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন।
বিরোধী দলগুলো যে অভিশংসন প্রস্তাব এনেছে, তা পাস করতে পার্লামেন্টের ৩০০ আসনের মধ্যে ২০০ ভোট প্রয়োজন। কিন্তু এর আগে ইউনের দল পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) অভিশংসন প্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যান করায় তা ব্যর্থ হয়।
লি জে-মুং বলেন, তাঁর দল ডিপি ১৪ ডিসেম্বর আবার অভিংশসনের চেষ্টা চালাবে। দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদেশ ধ্বংসকারী ও সামরিক অভ্যুত্থানের হোতা ইউনকে হয় অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে, অথবা দ্রুত অভিশংসন করতে হবে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ বলেছে, প্রেসিডেন্ট ইউনকে একটি ফৌজদারি তদন্তপ্রক্রিয়ার আওতায় এনেছেন কৌঁসুলিরা। এরই মধ্যে তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। বিদ্রোহের অভিযোগে তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধেই তদন্ত হচ্ছে।
অভিশংসিত হওয়া থেকে রক্ষা পেলেও প্রেসিডেন্ট ইউনের নিজ দলের নেতা বলেছেন, পদত্যাগ করার আগে তাঁকে তাঁর কাজ থেকে সত্যিকার অর্থেই দূরে রাখা হবে।
প্রেসিডেন্টকে তাঁর দায়িত্ব পালন থেকে সরিয়ে রাখার এ প্রস্তাবে তাঁরই নিয়োগ করা প্রধানমন্ত্রী আজ দৃশ্যত মৌন সমর্থন জানিয়েছেন। তবে বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতারা এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, পদত্যাগ বা অভিশংসন ছাড়াই কর্তৃত্বের এমন রদবদল অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার আরেক অপচেষ্টা।