সংঘাতপূর্ণ মিয়ানমারের জন্য একটি নতুন মানবিক উদ্যোগের পরিকল্পনা করছে থাইল্যান্ড। উদ্যোগটির লক্ষ্য জান্তাশাসিত মিয়ানমারের যুদ্ধরত পক্ষগুলোর মধ্যে আলোচনার পথ প্রশস্ত করা। থাইল্যান্ডের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সিহাসক ফুয়াংকেটকিও এ কথা বলেছেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, চলতি মাসের শেষভাগে মিয়ানমার সীমান্তে একটি মানবিক নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে চায় থাইল্যান্ড।
থাইল্যান্ডের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পরিকল্পনার আওতায় তাঁরা মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী স্থানীয় সম্প্রদায়সহ সংঘাতে বাস্তুচ্যুত প্রায় ২০ হাজার মানুষের মধ্যে খাদ্য-চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহ করতে চান।
থাইল্যান্ডের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রত্যাশা, পরিকল্পনাটি ১০ সদস্যের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোটের (আসিয়ান) শান্তিপ্রক্রিয়ার প্রচেষ্টাকে জোরদার করবে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও তার প্রতিপক্ষগুলোর মধ্যে শান্তিপ্রক্রিয়া শুরুর ব্যর্থ চেষ্টা করেছিল আসিয়ান। এ প্রচেষ্টার চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আনা। সংলাপের পথ খোলা।
থাইল্যান্ডের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারকে অস্থিতিশীল দেখতে চাই না। প্রক্রিয়াটি (শান্তি) অবশ্যই কার্যকর, বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ হতে হবে।’
থাইল্যান্ডের উদ্যোগটির প্রতি গত সপ্তাহেই সমর্থন দিয়েছেন আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এ ছাড়া মিয়ানমারের একজন প্রতিনিধিও উদ্যোগটির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
উদ্যোগের আওতায় আসিয়ানের মানবিক সহায়তা সংস্থার পর্যবেক্ষণে মাঠপর্যায়ে সহায়তাসামগ্রী সরবরাহ করবে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের রেডক্রস।
২০২১ সালে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতা দখল করে। ক্ষমতা দখলের পরই ব্যাপক জন-অসন্তোষের মুখে পড়ে জান্তা সরকার। তখন থেকেই দেশটিতে সংঘাত চলছে। সম্প্রতি এই সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করেছে। সংঘাত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। জান্তা বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর তুমুল লড়াই চলছে। এই লড়াইয়ে জান্তা বাহিনী ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।