তুরস্কে আগামী ১৪ মে পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আল–জাজিরার
গত শনিবার তুরস্কের উত্তর-পশ্চিম বুরসা প্রদেশে অনুষ্ঠিত যুব সম্মেলনে এই দুই নির্বাচনের তারিখ জানান এরদোয়ান। গতকাল রোববার এ অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান পুনর্নির্বাচনের পরিকল্পনা করছেন। তিনি যুব সম্মেলনে বলেন, ‘আমি স্রষ্টাকে ধন্যবাদ জানাই যে আমরা আপনাদের সঙ্গে আমাদের পথ ভাগ করে নেওয়ার ভাগ্য পেয়েছি। আপনারা আমাদের মূল্যবান তরুণ, যাঁরা আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন।’
বুরসায় এরদোয়ান বলেন, তিনি আগামী ১০ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের বিষয়ে ঘোষণা দেবেন। তারপর দেশটির সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিল নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেবে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পান, তাহলে ২৮ মে দ্বিতীয় দফার ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
তুরস্কের পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামী ১৮ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এরদোয়ান আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে ভোট এগিয়ে আনা হতে পারে। এখন তেমনটাই দেখা যাচ্ছে।
এরদোয়ান ২০০৩ সাল থেকে তুরস্কের ক্ষমতায় আছেন। প্রথম তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আর ২০১৪ সালের আগস্ট থেকে প্রেসিডেন্ট পদে আছেন।
২০১৮ সালে এরদোয়ান একটি নতুন শাসনব্যবস্থা চালু করেন। এই ব্যবস্থা দেশটির প্রেসিডেন্টের হাতে বেশির ভাগ ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করে। আগে প্রেসিডেন্টের পদটি ছিল মূলত আনুষ্ঠানিক পদ। নতুন ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন একই দিনে অনুষ্ঠানের নিয়ম করা হয়।
তুরস্কের বিরোধীরা দেশটির অর্থনৈতিক মন্দা, নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতা সংকুচিত করার জন্য ৬৮ বছর বয়সী এরদোয়ানকে দায়ী করছে। তারা তাঁর বিরুদ্ধে ‘এক ব্যক্তির শাসন’ ব্যবস্থা চালুর অভিযোগ করছে।