আফগান বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নিষিদ্ধ করায় ছাত্রদের পরীক্ষা বর্জন

মেয়েদের পড়াশোনা নিষিদ্ধ করে তালেবানের ঘোষিত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন ছাত্ররা
ছবি: টুইটার

আফগানিস্তানে ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করার প্রতিবাদে পরীক্ষা বর্জন করেছেন ছাত্ররা। ছাত্রীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে নানগারহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পরীক্ষা বর্জন করেন। খবর ইন্ডিয়া টুডের

এদিকে মেয়েদের পড়াশোনা নিষিদ্ধ করে তালেবানের ঘোষিত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন নানগারহার ও কান্দাহারের ছাত্ররা। এ সময় তাঁদের হাতে প্ল্যাকার্ডও দেখা যায়।

গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের উচ্চশিক্ষা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তালেবান। বুধবার ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেননি।

ক্ষমতায় আসার পর নারীদের অধিকার ও স্বাধীনতা হরণে এটি তালেবানের সর্বশেষ পদক্ষেপ।

তালেবানের এমন সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এ সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র।

নারীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান ও কাতার। এএফপি জানায়, এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে আজ বৃহস্পতিবার তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু।

এক সংবাদ সম্মেলনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ করা ইসলামসম্মত কিংবা মানবিক কোনোটিই নয়। আমরা এ সিদ্ধান্ত সঠিক বলে মনে করি না। ইনশা আল্লাহ, তালেবান এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেবে।’

গত বছর ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর তালেবান কঠোর ইসলামি আইন ব্যাপকভাবে বাস্তবায়ন করেছে। তারা মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষাও নিষিদ্ধ করেছে। বিধিনিষেধের কারণে চাকরি করতে পারছেন না আফগান নারীরা।

এ ছাড়া নারীদের ঘরের বাইরে বোরকা পরে চলতে বলা হয়েছে। তাদের পার্ক ও শরীরচর্চাকেন্দ্রে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পুরুষ স্বজন ছাড়া নারীদের দীর্ঘ ভ্রমণে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।