মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়ায় পাওয়া যায়। কিন্তু অ্যাপের মাধ্যমে হেলিকপ্টার ভাড়া করে যদি আকাশপথে যাতায়াত করা যায়, তাহলে কেমন হবে?
সে কাজই করতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বেসামরিক বিমান চলাচল প্রতিষ্ঠান। তারা একটি অ্যাপ চালু করেছে, যার মাধ্যমে যাতায়াতের জন্য ভাড়ায় মিলবে হেলিকপ্টার।
প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠানটি সিউলের গ্যাংনাম এলাকা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এই হেলিকপ্টার সেবা চালু করছে। যাত্রীদের সড়কপথে এখানে চলাচলে প্রায় দুই ঘণ্টা লাগে। হেলিকপ্টারে সময় লাগবে মাত্র ২০ মিনিট।
মোভিয়েশন ভোনায়ের নামের প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা বলেন, আপাতত এক ঘণ্টা পরপর হেলিকপ্টার সেবা দেওয়া হবে। এতে একবার যাওয়ায় খরচ পড়বে ৪ লাখ ৪০ হাজার ওন বা ৩২০ মার্কিন ডলার। ছয় মাস পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা চলবে।
মোভিয়েশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিন মিন বলেন, গত সোমবার তাঁদের পরীক্ষামূলক সেবা চালু হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় ছোট ছোট উড়োজাহাজ চলাচলের খুব একটা চল নেই। এ দেশের শহুরে নাগরিকেরা এই সেবার সঙ্গে খুব একটা পরিচিত নয়। তা ছাড়া এখানে ছোট ছোট উড়োজাহাজ চলাচলের মতো পর্যাপ্ত অবকাঠামোও নেই।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা দেশজুড়ে হেলিকপ্টার সেবা চালু করবে। সিউল থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় বুসানে যেতে ১ কোটি ৮০ লাখ ওন বা ১৩ হাজার মার্কিন ডলার খরচ পড়বে।
শিন বলেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠানের হেলিকপ্টার নিরাপদ এবং পাইলটরাও বেশ দক্ষ ও অভিজ্ঞ।
আবহাওয়া খারাপ থাকলে হেলিকপ্টার সেবা বন্ধ রাখা হবে। বছরে ৩০ শতাংশ সেবা এভাবে স্থগিত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও আকাশপথে যাতায়াতের বা নগর এলাকায় আকাশপথে যাতায়াতে (ইউএএম) সেবা চালুর চিন্তাভাবনা করছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম টেলিকম অপারেটর এস কে টেলিকম গত বছর ক্যালিফোর্নিয়ার জবি এভিয়েশন কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে এয়ার ট্যাক্সি সেবা চালুর উদ্যোগ নিয়েছিল। তারা আশা করছে, এতে দক্ষিণ কোরিয়ার নগরজীবনে যানজট এড়িয়ে মানুষ চলাচল করতে পারবে।
এ কোম্পানি আশা করছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ তারা আকাশপথে ট্যাক্সি সেবা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করতে পারবে।