তাইওয়ানের দক্ষিণ উপকূলে ৯ ক্রুসহ ডুবে যাওয়া একটি পণ্যবাহী জাহাজের সন্ধানে তল্লাশি চলছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, ঝোড়ো বাতাস এবং বড় বড় ঢেউয়ের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
তাইওয়ান উপকূলে টাইফুন গায়েমির তাণ্ডবের সময় তানজানিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি দ্বীপরাষ্ট্রটির দক্ষিণের বন্দর নগর কাওশিউং থেকে দূরে সমুদ্রে অবস্থান করছিল। ফুশান নামের ওই পণ্যবাহী জাহাজটির ৯ ক্রুর সবাই মিয়ানমারের নাগরিক।
গায়েমির প্রভাবে তাইওয়ানের প্রতিবেশী দেশ ফিলিপাইনে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। সেখানে তেলবাহী একটি ট্যাংকার ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়া ট্যাংকারটিতে প্রায় ১৫ লাখ লিটার জ্বালানি তেল ছিল। ফিলিপাইনের পতাকাবাহী ওই ট্যাংকারের ১৬ ক্রুকে উদ্ধার করা হয়েছে। একজন নিখোঁজ বলে জানিয়েছে দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার মধ্যরাতে তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে আঘাত হানে টাইফুন গায়েমি। ঘূর্ণিঝড়ে সেখানে তিনজন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। তার আগে গায়েমির তাণ্ডবে ফিলিপাইনে আটজন মারা যান।
তাইওয়ানে আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড়টি চীনের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
গায়েমি যখন তাইওয়ানে আঘাত হানে, সে সময় আরও তিনটি বিদেশি জাহাজ ওই অঞ্চলে ছিল। সেগুলো নিরাপদে আছে বলে জানিয়েছে তাইওয়ানের কোস্টগার্ড প্রশাসন।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তাইওয়ান তাদের বার্ষিক সামরিক মহড়ার একটি অংশ বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ প্রায় সব ফ্লাইট বাতিল এবং দুই শতাধিক আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও বাতিল করা হয়েছে।
ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে একজন গাড়িচালক নিহত হন। তাঁর গাড়ির এক্সকাভেটর উল্টে গেলে সেটির নিচে চাপা পড়ে আরও একজন মারা যান বলে জানান স্থানীয় কর্মকর্তারা। বাকি একজনের মৃত্যুর কারণ জানতে পারেনি বিবিসি।
ঝড়ের কারণে তাইওয়ানের উপকূলীয় এলাকা থেকে আট হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।