আসল ভেবে নকল পেস্ট্রি বিক্রি 

প্রতীকী ছবি। রয়টার্স
প্রতীকী ছবি।  রয়টার্স

পেস্ট্রি কার না পছন্দ? রাস্তার পাশের দোকানে থরে থরে সাজানো পেস্ট্রি দেখে, খাওয়ার সাধ জাগতেই পারে। তবে পেস্ট্রি কেনার পর যদি দেখেন সেটি আসল নয় নকল, তাহলে কেমন লাগবে! এভাবে ক্রেতাকে ভুল করে নকল পেস্ট্রি দেওয়ার একটি ঘটনা ঘটেছে জাপানে।

ঘটনাটি গত সপ্তাহের। পশ্চিম জাপানের তোত্তোরি শহরে ছোট একটি দোকানে পেস্ট্রি সাজানো দেখে কিনতে গিয়েছিলেন দুই ব্যক্তি। তবে সেগুলো আসল ছিল না, ছিল প্লাস্টিকের তৈরি নমুনা। নমুনাগুলো দেখতে এতটাই আসলের মতো ছিল যে তা ধরতে পারেননি দোকানটির কর্মীও। না বুঝে দুজনের কাছে পাঁচটি পেস্ট্রি বিক্রি করেন তিনি। 

তবে ওই দুই ক্রেতার ভাগ্য ভালো বলতেই হবে। প্লাস্টিকের পেস্ট্রিতে দাঁত বসিয়ে ব্যথা পাওয়ার আগেই বিষয়টি টের পেয়েছিলেন তাঁরা। পরে সেগুলো দোকানে ফিরিয়ে দেন। ততক্ষণে দোকানের কর্মীরাও অবশ্য নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছিলেন।

ওই নমুনা পেস্ট্রিগুলো বিক্রি করা হয়েছিল ওসাকাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘অ্যানড্রুস এগ টার্ট’-এর একটি দোকান থেকে। গত বুধবার প্রতিষ্ঠানটির এক প্রতিনিধি এএফপিকে বলেন, ‘ভুল করে নমুনাগুলো বিক্রির জন্য আমরা খুবই দুঃখিত।’ আর ভবিষ্যতে যেন এমন ভুল আর না হয়, সে জন্য আসল খাবার ও প্লাস্টিকের নমুনায় আলাদা স্টিকার ব্যবহারের সিদ্ধান্তও নিয়েছে তারা।

জাপানে বিভিন্ন খাবারের নমুনা হিসেবে সেগুলোর প্লাস্টিকের সংস্করণ ব্যবহার করা হয়। এগুলোকে দেশটিতে বলা হয় ‘শোকুহিন সামপুরু’। খাবারের নমুনাগুলো একেবারে নিখুঁতভাবে তৈরি করা হয়। দেশটিতে এই শিল্পের শতকোটি ডলারের ব্যবসা রয়েছে।

‘শোকুহিন সামপুরু’ অর্থ খাবারের নমুনা। গত শতকের বিশের দশকে জাপানের দোকানগুলোতে খাবারের নমুনা ব্যবহারের প্রচলন হয়। তবে এই শিল্পের বয়স আরও বেশি বলে মনে করেন অনেকে। সে সময় খাবারের নমুনাগুলো মোম দিয়ে তৈরি করা হতো।