জাতীয় নির্বাচনে জালিয়াতি ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজার পদত্যাগ দাবি করেছে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের সঙ্গে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের কাছে এই দাবি জানান দলের চেয়ারম্যান গহর আলী খান। তিনি বলেন, ‘খান সাহেবের (ইমরান খান) নির্দেশ মেনে পিটিআই অনতিবিলম্বে তাঁকে (সিকান্দার রাজাকে) পদত্যাগ করার দাবি জানাচ্ছে।’
৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন কারাবন্দী ইমরানের দল পিটিআই–সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৯টি আসন পেয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ–নওয়াজ (পিএমএল–এন)। আর বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৪টি আসন। জোট সরকার গঠনে পিএমএল–এন ও পিপিপির নেতারা কয়েক দিন ধরে সমঝোতা আলোচনা চালিয়ে আসছেন।
অপর দিকে শুরু থেকেই নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করছে পিটিআইসহ কয়েকটি দল। এর মধ্যে রাওয়ালপিন্ডির নির্বাচন কমিশনার লিয়াকত আলী চাতা ভোট জালিয়াতি নিয়ে বোমা ফাটানো অভিযোগ তুলেছেন। ওই কমিশনার বলেছেন, তাঁর তত্ত্বাবধানেই রাওয়ালপিন্ডিতে জয়ী হতে যাওয়া প্রার্থীদের ভোটের হিসাবে ওলটপালট করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর এই স্বীকারোক্তির পর ভোট জালিয়াতি নিয়ে দেশটিতে প্রতিবাদ–বিক্ষোভ জোরালো হয়েছে।