মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী কারাবন্দী নেত্রী অং সান সু চি অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসায় কারাগারের বাইরে থেকে চিকিৎসক আনার অনুরোধ করলেও তাতে প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির সামরিক সরকার। সু চির অসুস্থতার বিষয়টি জানেন, এমন এক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
নোবেল বিজয়ী অং সান সু চিকে হাসপাতালের একজন চিকিৎসকই চিকিৎসা দিচ্ছেন।
সূত্র জানান, ‘তাঁর (সু চির) দাঁতের মাড়ি ফুলে গেছে। তিনি ভালোভাবে খেতে পারছেন না।
তাঁর মাথা ঝিমঝিম করার সমস্যাও আছে, সেই সঙ্গে আছে বমি বমি ভাব।’ সূত্র গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে তাঁর নাম প্রকাশ করতে চাননি। তবে সামরিক সরকারের মুখপাত্রের কাছে রয়টার্সের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি।
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ২০২১ সালের শুরু থেকেই অশান্ত। ওই সময় সেনা সরকার সু চির ভোটে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেই জান্তা সরকার থেমে থাকেনি। তাদের বিরোধিতাকারী গণতন্ত্রপন্থী হাজার হাজার নেতা–কর্মীকে হত্যা কিংবা বন্দী করেছে।
সু চির বিরুদ্ধে করা ১৯টি ফৌজদারি মামলার রায়ে তাঁর ২৭ বছর কারাদণ্ড হয়েছে। তবে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সু চির বিরুদ্ধে নির্বাচনে অসদুপায় অবলম্বন থেকে শুরু করে দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে।
গত জুলাই মাসে সু চিকে গৃহবন্দী অবস্থা থেকে দেশটির রাজধানী নেপিডোর কারাগারে নেওয়া হয়।
মিয়ানমারের প্রবাসী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্মেন্টের মুখপাত্র কিওয়া জাও রয়টার্সকে বলেন, ‘অং সান সু চিসহ সব রাজনৈতিক বন্দীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত মিয়ানমারের সামরিক সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা।’
ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্মেন্ট সরকারে সু চির দলসহ সামরিক সরকারের বিরোধী বিভিন্ন দল যুক্ত আছে।