বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে জি-২০ অর্থমন্ত্রীদের দুই দিনের বৈঠক আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই শেষ হয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা কারণে জোটে বিভক্তি অব্যাহত থাকায় সম্মেলন শেষে কোনো যৌথ ঘোষণা আসেনি। এর আগে গতকাল শনিবার বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে জি-২০ অর্থমন্ত্রীদের নিজেদের লক্ষ্যের প্রতি জোর দেওয়ার আহ্বান জানায় আয়োজক দেশ ইন্দোনেশিয়া।
বৈঠকে জি–২০ অর্থমন্ত্রীরা খাদ্য ও জ্বালানিসংকটের সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে সমস্যা বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন, কানাডার অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডসহ পশ্চিমা জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা গত শুক্রবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নিন্দা জানান। এই যুদ্ধের কারণে ব্যাপক অর্থনৈতিক পতনের জন্য রুশ কর্মকর্তাদের তুলাধোনা করেন তাঁরা।
সম্মেলনে ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী সেরহি মারচেঙ্কো ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেন। ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোয় রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘আরও কঠিন সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা’ আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এই যুদ্ধকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলছে ক্রেমলিন। গত সপ্তাহে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনসহ জি-২০ এর বৈঠকগুলোর আলোচনায় এই যুদ্ধই বেশি জায়গা করে নেয়।
ইন্দোনেশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পেরি ওয়ারজিয়ো বলেন, সদস্য দেশগুলো ফলপ্রসূ আলোচনা করেছে। তবে বৈশ্বিক অর্থনীতিকে সমর্থন দিতে জি-২০–কে অবশ্যই দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে।
দ্বিতীয় দিনের উদ্বোধনী ভাষণে পেরি ওয়ারজিয়ো বলেন, ‘এ বছর আমরা যা অর্জনের পরিকল্পনা করেছি, আমাদের সে বিষয়ে জোর দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সমর্থন প্রদানে জি-২০ এর ভূমিকা ও প্রচেষ্টার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইতিবাচক বার্তা দেবে।’
সম্মেলন শেষে আনুষ্ঠানিক বিবৃতির পরিবর্তে ইন্দোনেশিয়ার পক্ষে ১৪ অনুচ্ছেদ বিবৃতি দেন অর্থমন্ত্রী শ্রী মুলিয়ানি ইন্দ্রাবতী। তিনি বলেন, বেশির ভাগ নথিতে ঐকমত্য হলেও দুটি অনুচ্ছেদে যুদ্ধের প্রভাব এবং কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে সে সম্পর্কে সদস্যদের মতপার্থক্য রয়েছে।