তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং তে বলেছেন, তাইওয়ানের জনগণকে শাস্তি দেওয়ার বা তাদের অধিকার খর্ব করার কোনো এখতিয়ার নেই চীনের। তাইওয়ানের স্বাধীনতার কট্টরপন্থী সমর্থকদের মৃত্যুদণ্ড দিতে চীনের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার তিনি এ কথা বলেন।
তাইপেতে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চীনের উচিত তাইওয়ানের বৈধভাবে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কথা বলা এবং দেশটির অস্তিত্ব স্বীকার করে নেওয়া। তা না হলে দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক আরও খারাপ হবে।
২১ জুন তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষের কট্টর সমর্থকদের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিষয়টি বিচারিক নির্দেশিকায় যুক্ত করে চীন। ফৌজদারি অপরাধের বিশেষ গুরুতর মামলার ক্ষেত্রে এ শাস্তি প্রযোজ্য হবে বলে উল্লেখ করা হয় এতে।
নির্দেশনায় বলা হয়, তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে যাঁরা ওকালতি করবেন, তাঁদের ১০ বছর থেকে শুরু করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। স্বাধীনতার প্রচেষ্টায় যাঁরা মূল ভূমিকা নেওয়ার চেষ্টা করবেন এবং রাষ্ট্র ও জনগণের মারাত্মক ক্ষতি করবেন, তাঁদের এ শাস্তি দেওয়া হবে।
তাইওয়ান নিজেকে স্বাধীন সার্বভৌম মনে করে। অন্যদিকে তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে চীন। দেশটি আট বছর ধরে স্বশাসিত তাইওয়ানের প্রতি হুমকি বাড়িয়ে চলছে। তাইওয়ানকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের কথাও বলে আসছে বেইজিং।