বিশ্বে এ মুহূর্তে প্রতি ১০০ জন মানুষের মধ্যে ৩৬ জন থাকে ভারত ও চীনে। ফলে এই দুই দেশের জনসংখ্যা নীতিকৌশলের দিকে পুরো বিশ্বের মনোযোগ।
চীন ও ভারতের মধ্যে কোন দেশে জনসংখ্যা বেশি—এই প্রশ্নের উত্তর ২০২৩ সালে আর আগের মতো থাকছে না। ভারত যে এ বিষয়ে চীনকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে, সেটা প্রায় নিশ্চিত। ঠিক এ উপলক্ষে ভারতে অনেকে ‘এক সন্তান’ নীতি চাইছে। অন্যদিকে গণচীন পুরোনো নীতি পাল্টে বিবাহিতদের উৎসাহ দিচ্ছে আরও সন্তান নিতে। নাগরিকদের প্রজননস্বাস্থ্য নিয়ে ভারত ও চীনের এই বিপরীতমুখী পথচলা কৌতূহলোদ্দীপক। একই সঙ্গে মনে হচ্ছে, উভয় দেশে নর-নারীর শরীরের ওপর নতুন করে আরেক দফা নজর পড়তে যাচ্ছে রাজনীতির।
ভারতে প্রজননহার এখন দুইয়ের একটু বেশি। স্বাধীনতার সময় ছিল প্রায় ছয়ের কাছাকাছি। ৩০ বছর আগে ছিল চারের মতো। অর্থাৎ সন্তান জন্মদানে সক্ষম নারীরা এখন তাঁদের মায়েদের থেকে অনেক কম বাচ্চা নিচ্ছে। কিন্তু ইতিমধ্যে দেশটি জনসংখ্যায় বিশ্বের সর্বোচ্চ আসন পাওয়ার পথে। অনুমান হচ্ছে, এপ্রিলে সে রকম ঘোষণা আসবে। তবে উন্নয়নশীল বিশ্বে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির অন্যতম আদি পরীক্ষাগার ভারত। মহাত্মা গান্ধী যদিও গর্ভনিরোধকসামগ্রী ব্যবহারের বিপক্ষে ছিলেন, কিন্তু স্বাধীনতার কিছুকাল পর ১৯৫২ সালে ভারতে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে এ কর্মসূচি শুরু হয়ে যায়। প্রচুর সম্পদ বিনিয়োগ হয় এতে। ইন্দিরা গান্ধীর শাসনামলে জরুরি অবস্থার সময় (১৯৭৫-৭৭) এ নিয়ে কিছু জবরদস্তি হয়। গরিবরা তার প্রধান লক্ষ্যবস্তু হয়ে পড়ে। পুলিশি লাঠির নিচে অনেক অবিবাহিতও বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচির শিকার হয়। এভাবে ইন্দিরার ‘গরিবি হটাও’ স্লোগান ‘গরিব হটাও’য়ে পরিণত হয়েছিল। এরপর আসে ‘হাম দো, হামারে দো’ (আমরা দুজন, আমাদের দুজন) প্রচার। ইতিমধ্যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার বিকাশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নারীপ্রতি সন্তানসংখ্যা বেশ কমেছে দেশটিতে। তবে গণচীনে প্রজনন অনেক বেশি হারে কমতে থাকায় জনমিতিতে বৈশ্বিক প্রথম স্থান ভারতের জন্য নির্দিষ্ট হয়ে যায়। গত ৬০ বছরে ২০২২ সালে প্রথম চীনে জন্মসংখ্যা মৃত্যুসংখ্যার চেয়ে কম দেখা গেল। প্রতি হাজার মানুষের বিপরীতে সেখানে মৃত্যু ৭ দশমিক ৩৭ জন; জন্ম ৬ দশমিক ৭৭ জন। এক বছরে প্রায় সাড়ে আট লাখ জনসংখ্যা কমেছে। মাও সেতুংয়ের আমলে দুর্ভিক্ষে কেবল এ রকম ঘটে।
ইন্দিরা গান্ধীর সময় জোর করে জন্মহার কমানোর ব্যাপক সমালোচনা হলেও তার দুই-তিন বছর পরই চীন ‘এক সন্তান নীতি’ নেয়। মানুষকে মানতে বাধ্য করার জন্য এই নীতিকে সংবিধানে যুক্ত করা হয়। যারা বেশি সন্তান নিয়ে ফেলত তাদের শাস্তিমূলক ‘সোশ্যাল মেনটেইন্যান্স ফি’ দিতে হতো। এতে সরকার জনসংখ্যা বাড়ার ধারা অনেক কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়। তাতে তৈরি হয় নতুন বিপদ। জন্মহার কমার পাশাপাশি জীবনযাত্রার উন্নয়নে সমাজে মৃত্যুহার কমে এবং মানুষের আয়ু বেশ বাড়ে। বর্তমানে সেখানে গড় আয়ু ৭৭ বছর। ১৯৫০ সালে যা ছিল ৪৩। এই অগ্রগতিতে চীন নতুন এক ঝামেলায় পড়ে। নবীনের সংখ্যা কমে সমাজে প্রবীণের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সে জন্যই ২০১৫ সালে ‘এক সন্তান নীতি’ বদলে দম্পতিদের দুই সন্তান নিতে বলা হয়। এতেও পরিস্থিতি সামলানো যাবে না অনুমান করামাত্র ২০২১ সাল থেকে পরিবারগুলোকে তিন সন্তান নিতে বলা হয়। ঘোষণা আসে, যাঁরা সন্তান বেশি নেবেন, তাঁদের কর রেয়াতসহ আরও কিছু সুবিধা দেওয়া হবে। এখন অনেক প্রদেশে সন্তান ধারণের জন্য পরিবারগুলোকে নগদ অর্থসহায়তার নিয়ম হয়েছে বা হচ্ছে। এভাবে অতীত ভুলের প্রায়শ্চিত্তে নেমেছে শাসকেরা। তবে এতে এক সন্তান নীতির সময়ের মতো আরেক দফা জোরদার হচ্ছে নর-নারীর শরীরকে নিশানা করা। এবার অবশ্য উল্টোভাবে।
অন্যদিকে ভারতের শাসকেরা এ মুহূর্তে বিবাহিতদের ‘শরীর নিয়ন্ত্রণের’ কথা ভাবছেন গণচীনের উল্টো কারণে। প্রথমত, বাড়তি মানুষদের অর্থনীতিতে জায়গা দেওয়ার মতো অবস্থা তৈরি করতে পারেনি বিজেপি সরকার। অর্থনৈতিক উন্নয়ন এমনভাবে হচ্ছে, সম্পদ গুটিকয়েক মানুষের পকেটে যাচ্ছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফামের গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেল, ২০১২ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ভারতে যে সম্পদ তৈরি হয়েছে, তার ৪১ শতাংশ গেছে ওপর দিকের ১ শতাংশ মানুষের ঘরে। মাত্র ৩ শতাংশ গেছে সমাজের নিচুতলার ৫০ শতাংশের কাছে। দেশটির ১০০ জন ধনীর হাতে ৬৬০ বিলিয়ন ডলারের সমান সম্পদ জড়ো হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় বিপুল জনসংখ্যা মানে বিপুল দারিদ্র্য। ২০২৫ সাল নাগাদ দেশটিতে প্রতিবছর ৮০ লাখ নতুন কাজের সুযোগ দরকার (নিক্কি এশিয়া, ৩ আগস্ট ২০২২)। কিন্তু চলতি ধাঁচের উন্নয়ন কর্মসংস্থান প্রত্যাশামতো বাড়াতে পারছে না। এ অবস্থায় সম্পদবৈষম্য কমানোর পরিবর্তে বিজেপি নেতারা ভাবছেন সামাজিক অস্থিরতা ও বেকার কমাতে নারীর সন্তান ধারণ কমানো একটা বিকল্প উপায় হতে পারে। সূক্ষ্মভাবে সামাজিক অসাম্য ও অনুন্নয়নের নারীমুখী একটা ব্যাখ্যা তাঁরা বাজারজাত করছেন।
ভারতে বিজেপি নেতাদের একটা বদ্ধমূল ধারণা, দেশে লোক-বিপুলতার বড় উৎস মুসলমান ও দলিত পরিবারগুলো। এদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে যৌনজীবন ‘নিয়ন্ত্রণ’ ভালো উপায় হতে পারে। দেশটিতে ‘ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে-৫’–এর ফল প্রকাশকালে (২৪ নভেম্বর ২০২১) দেখা গিয়েছিল খ্রিষ্টানপ্রধান মেঘালয় ও মনিপুরেও জন্মহার বেশি। কিন্তু তারপরও মুসলমান ও দলিত সংখ্যা বেশি আছে, এমন রাজ্যগুলোয় এক সন্তান নীতি কায়েম করতে বিজেপি নেতারা খুব উৎসাহী। জনসংখ্যায় মুসলমানদের হিস্যা বেশ বড় বলেই উত্তর প্রদেশ ও আসামে সবার আগে ‘দুই সন্তান নীতি’ হয়েছে। কর্ণাটকও সে পথে হাঁটছে। যদিও উপাত্ত বলছে, মুসলমান ও দলিতদের মধ্যেও বিগত দশকে জন্মহার কমেছে, কিন্তু লোকসংখ্যায় ভারত যত বিশ্বের ১ নম্বর জায়গার দিকে এগোচ্ছে, তত এই ‘সমস্যা’কে সাম্প্রদায়িক রং দেওয়ার চেষ্টা বাড়ছে। মুসলমান পরিবারের আকার নিয়ে বানানো হাম দো, হামারে বারাহ (আমরা দুজন, আমাদের ১২ জন) সিনেমার পোস্টার কয়েক মাস আগেই যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি করেছিল। এই সিনেমা তখনই বাজারে ছাড়া হয় যখন উত্তর প্রদেশে প্রজননস্বাস্থ্য ‘নিয়ন্ত্রণ’ করতে চেয়ে বিল আনা হয়। এই বিলের শিরোনামে (‘ইউপি পপুলেশন কন্ট্রোল, স্ট্যাবিলাইজেশন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার বিল ২০২১’) সরাসরি নিয়ন্ত্রণ ধারণা রয়েছে।
২০১৬ সালে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল যখন প্রথম কেন্দ্রীয়ভাবে দুই সন্তান নীতির ডাক দেন, তখন অনেকে একে বিচ্ছিন্ন মত হিসেবে গুরুত্ব দেননি। কেউ কেউ কৌতুক করেছেন প্রহ্লাদের নিজের দুইয়ের বেশি সন্তান সংখ্যা নিয়ে। কিন্তু ২০২০ সালে আরএসএসের প্রধান মোহন ভগত এবং অপর নেতা মনমোহন বৈদ্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানান, তাঁদের ‘মুখ্য’ রাজনৈতিক লক্ষ্য ‘দুই সন্তান নীতি’ বাস্তবায়ন। এর পরের বছরই রামদাস আতাওয়ালে এক সন্তান নীতির প্রয়োজনের কথা বলেন। প্রহ্লাদ ও রামদাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এতে অনুমান করা যায়, মোদি সরকার নাগরিকদের প্রজনন–স্বাধীনতায় হাত দিতে চাইছে। তারা চীনা শাসকদেরই অনুসরণ করতে চায়।
চীন যে এখন বেশি মানুষ চাইছে, সেটা এই অনুমান থেকে যে নারীদের কম গর্ভধারণ দেড়-দুই দশক পর শ্রমশক্তি কমিয়ে ফেলবে। তবে তিন সন্তান নীতিতেও এই সংকটের সমাধান নেই। কারণ, তিন বা ততোধিক সন্তান নিতে গেলে বিপুলসংখ্যক নারীশক্তিকে শ্রমবাজার থেকে মাঝেমধ্যে দূরে থাকতে হবে। আবার শিক্ষিত ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী নারীকে রাষ্ট্রের ইচ্ছামতো সন্তান ‘উৎপাদনযন্ত্র’ বানানো সব পরিবারে সহজ নয়। শিক্ষা ও যোগাযোগপ্রযুক্তির মাধ্যমে তরুণীরা ইতিমধ্যে জেনে গেছেন, ‘যন্ত্র’ হওয়া ছাড়াও অন্য রকম একটা জীবন হতে পারে। পাশাপাশি জীবনযাত্রার ব্যয় সামলে তিন সন্তান বড় করা কঠিন। যতই বাড়ি ভাড়া বেড়ে যাচ্ছে কর্মজীবীদের শহুরে কর্মস্থল থেকে দূরে পরিবারকে রাখতে হচ্ছে। তাতে আবার যাতায়াত খরচ বাড়ছে। পরিবারগুলোতে প্রবীণদের সংখ্যা এবং তাঁদের পেছনে ব্যয়ও বাড়ছে। প্রায় পরিবারে ইদানীং প্রবীণ রয়েছে। এই দ্বিমুখী সংকটে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা সরকারের তিন সন্তান নীতি নিয়ে আনন্দিত নয়। বিশেষ করে নারীরা। এর ফলেই চীন এখন বিশ্বে কম জন্মহারের অন্যতম দেশ। সরকার যখন দুইয়ের পরিবর্তে তিন সন্তান নীতি ঘোষণা করে তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক বিবাহিত কৌতুক করে বলছিলেন, ‘আমরা আটজনের পরিবার নিয়ে হিমশিম খাচ্ছি, নয়জনের পরিবারের ভার বইব কীভাবে?’ এর মানে হলো, অনেক স্বামী-স্ত্রীকে নিজ নিজ প্রবীণ বাবা-মায়ের যত্ন শেষে নিজেদের দুই সন্তানকে দেখতে হয় (২+২+২+২)। অর্থাৎ অর্থনৈতিক বাস্তবতা রাষ্ট্রের জনসংখ্যা নীতি বাস্তবায়নকে দুরূহ করে তুলেছে।
অন্যদিকে কর্মসংস্থানহীন প্রবৃদ্ধির মুখে চীনের পুরোনো জনসংখ্যা নীতি ভারতের নেতাদের বিশেষভাবে প্রলুব্ধ করছে। ঠিক একই অর্থনৈতিক মডেল বাংলাদেশেও জনসংখ্যা কমানোকে বেকারির দাওয়াই হিসেবে দেখাতে চায় মাঝেমধ্যে। এভাবে আড়াল হয় বিনিয়োগ পরিকল্পনার সমস্যা এবং সম্পদ পাচার হয়ে দূরদেশে যাওয়ার বিষয়। ভারতেও এ সমস্যা রয়েছে। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এসে বলেছিলেন চুরি করে বিদেশে নিয়ে যাওয়া অতিধনীদের সম্পদ দেশে আনা গেলে গরিবপিছু ১৫-২০ লাখ রুপি পাওয়ার কথা। গত ৯ বছরে সেটা ঘটাতে পারেনি বিজেপি। এখন গরিবদের বলা হচ্ছে, তোমাদের দুর্গতির কারণ তোমাদের ‘যৌনজীবন’। চীনও সেটা বলেছিল একদা।
বিশ্বে এ মুহূর্তে প্রতি ১০০ জন মানুষের মধ্যে ৩৬ জন থাকে ভারত-চীনে। ফলে এই দুই দেশের জনসংখ্যা নীতিকৌশলের দিকে পুরো বিশ্বের মনোযোগ। সাধারণত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসুবিধা বাড়লে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটলে জন্মহার কমে। ভারতে দলিত ও মুসলমান সমাজ অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যসুবিধায় তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে। সেটা আড়াল করে—সংখ্যা কমাতে তাদের নারীদের শরীর নিয়ন্ত্রণ করা হলে সেখানে চীনের অতীত ভুলের পুনরাবৃত্তি হওয়ার শঙ্কা আছে। এসব জনগোষ্ঠীতে তখন প্রবীণদের সংখ্যা বাড়বে এবং কাজ করতে পারার মতো তরুণ-তরুণীর সংখ্যা কমবে। আবার এক বা দুই সন্তান নীতিকে যদি চাকরি, পদোন্নতি ও শিক্ষার সঙ্গে শর্ত যুক্ত করা হয় তাহলে দলিত ও মুসলমান পরিবারগুলো ওসব সুবিধা থেকে নতুন করে বঞ্চিত হবে। আসন্ন এই বঞ্চনা সামাল দেওয়ার দায় পড়বে তখন সমাজের নারীদের ওপর। এভাবে কোটি কোটি নারীর শরীর নিয়ন্ত্রণমূলক এক রাজনীতির শিকার হতে পারে। চীনের নারীরাও একই বিপদের মুখে আছে বাড়তি সন্তান ধারণের রাষ্ট্রীয় তাগিদের পর।
প্রশ্ন হলো, চীন ও ভারতের এসব অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় শিক্ষা নেবে কি না? এখানকার পরিবারগুলোয় শিশু-কিশোর এবং প্রবীণের সংখ্যা এখনো মাঝবয়সী কর্মক্ষমদের কম। তবে তরুণ-তরুণীদের বেকারির মাঝে প্রবীণদের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতি ১০০ জনে ৬৮ জন উপার্জন-সক্ষমের বিপরীতে ১৪ বছরের কম বয়সী আছে ২৭ জন এবং ৬৫–ঊর্ধ্ব আছেন ৫ জন। অর্থাৎ ৬৮ জনের আয়ে আরও ৩২ জন নির্ভর করে। (প্রথম আলো, ১১ জুলাই, ২০২১) এই সমীকরণ দ্রুত বদলাচ্ছে। শিশু-কিশোর কমছে; প্রবীণ বাড়ছে। শিশুর সংখ্যা কমাতে একদা নারীর জরায়ুকে টার্গেট করা হয়েছিল। আবার বাড়ানোর জন্য একই টার্গেটের কথা ভাবা হতে পারে। ভারত ও চীনে ওই দুই মডেলের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। সম্পদ পাচার থামিয়ে ও সম্পদবৈষম্য কমিয়ে বাড়তি বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরি দরকার। সেটা করা না গেলে কেবল প্রজনন–স্বাধীনতা হরণকারী নীতিতে কাজ হবে না।
●আলতাফ পারভেজ ইতিহাস বিষয়ে গবেষক