গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের মূল ধারণার প্রতি তাইওয়ানের জনগণের যে অঙ্গীকার, তাকে বেইজিংয়ের শ্রদ্ধা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছে তাইপে।
তাইওয়ান ইস্যুতে আজ রোববার চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কেছিয়াংয়ের করা মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তাইপে এ কথা বলেছে।
চীনা পার্লামেন্টের বার্ষিক সভার উদ্বোধনীতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেইজিং ‘এক চীন’ নীতিতে অটল রয়েছে। বেইজিংয়ের এ নীতির অর্থ হলো, তাইওয়ান হলো চীনের অংশ।
লি কেছিয়াং বলেন, চীন সরকারের উচিত, তাইওয়ানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা। তাইওয়ানের সঙ্গে চীনের শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলন প্রক্রিয়াকে বেইজিংয়ের এগিয়ে নেওয়া। তাইওয়ান সমস্যার সমাধানে দলীয় নীতি বাস্তবায়ন করা।
তবে তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বেইজিংয়ের দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের পক্ষে মত দেন চীনা প্রধানমন্ত্রী।
প্রতিরক্ষা বিষয়ে পৃথক এক মন্তব্যে লি কেছিয়াং বলেন, চীনা সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধ প্রস্তুতি বাড়ানো উচিত। তবে এ ক্ষেত্রে তিনি তাইওয়ানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেননি।
চীনা প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তাইপের পক্ষ থেকে বলা হয়, বেইজিংয়ের উচিত, তাইওয়ান-সংক্রান্ত বিষয়গুলো বাস্তবসম্মতভাবে দেখা। যুক্তিসংগত, ন্যায্য ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার সঙ্গে বিবেচনা করা, যাতে আলাপ-আলোচনায় সুন্দর পরিস্থিতি তৈরি হয়।
তাইওয়ান নিজেকে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দেখে। তাইওয়ানের নিজস্ব সংবিধান ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতা রয়েছে। তাইওয়ানের বেশির ভাগ বাসিন্দা নিজেদের তাইওয়ানি হিসেবে পরিচয় দেন। অপর দিকে তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে চীন। তাই তারা তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়।