উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীতে চলতি সপ্তাহে যোগ দিয়েছেন ১৪ লাখের বেশি তরুণ। আজ বুধবার দেশটির পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হয়। উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমায় দক্ষিণ কোরিয়ার সেনারা ড্রোন পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠার পরই মূলত বিপুলসংখ্যক তরুণের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার খবর এল।
পিয়ংইয়ং গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্ত একটি সড়ক ও রেলপথ উড়িয়ে দেয়। এর আগে দেশটি হুঁশিয়ারি দেয়, আর কোনো ড্রোন পাঠানো হলে বিষয়টিকে যুদ্ধের ঘোষণা বলেই ধরে নেওয়া হবে। পাশাপাশি সীমান্তে গুলি চালানোর জন্য সেনাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে সিউল প্রাথমিকভাবে ড্রোন পাঠানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে পিয়ংইয়ংয়ের দাবি, তাদের কাছে এ ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ার জড়িত থাকার ‘স্পষ্ট প্রমাণ’ আছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা দ্য সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়া ড্রোন পাঠানোর মধ্য দিয়ে উত্তর কোরিয়ার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের গুরুতর উসকানি দিয়েছে। তাদের এ ঘৃণ্য অপচেষ্টাকে রুখে দিতে উত্তর কোরিয়ার লাখো তরুণ দেশজুড়ে সংগ্রামে যোগ দিয়েছেন।
সংবাদ সংস্থাটি আরও বলেছে, ১৪-১৫ অক্টোবর উত্তর কোরিয়াজুড়ে ১৪ লাখের বেশির ইয়ুথ লিগের সদস্য, তরুণ ও শিক্ষার্থী স্বেচ্ছায় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। এমনিতেই উত্তর কোরিয়ার সব পুরুষকে লম্বা সময়ের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হয়। তার ওপর দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়ে গেলে দেশপ্রেমী তরুণদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিল দেশটি।