মিয়ানমারে সহিংসতা নিয়ে আসিয়ান নেতাদের ‘উদ্বেগ’

অভ্যুত্থানের পর থেকে ইয়াঙ্গুনসহ মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে নিয়মিত টহল দিতে দেখা যায় জান্তা বাহিনীকে
ফাইল ছবি: এএফপি

মিয়ানমারে চলমান সহিংসতা নিয়ে আজ বুধবার ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোটের (আসিয়ান) নেতারা। একই সঙ্গে দেশটিতে মানবিক সহায়তা দেওয়ার কাজে যুক্ত জোটের কর্মকর্তাদের গাড়িবহরে হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন তাঁরা। আজ ইন্দোনেশিয়ার লাবুয়ান বাজোতে আসিয়ান নেতাদের বৈঠক শুরু হয়েছে।

২০২১ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক জান্তা। এর পর থেকেই দেশটিতে সহিংসতা চলছে। এ সংকট কাটিয়ে শান্তি ফেরাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আসিয়ান। তবে এসব তৎপরতা এখনো সফলতার মুখ দেখেনি।  

মিয়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে আজ এক বিবৃতিতে আসিয়ানের নেতারা বলেন, ‘মিয়ানমারে চলমান সহিংসতা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। দেশটিতে অবিলম্বে সব ধরনের সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে নিরাপদে ও সময়মতো মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় সংলাপ চালিয়ে যেতে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরির আহ্বান করছি।’  

শুধু আসিয়ান নয়, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সমালোচনা করে আসছে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক পক্ষও। তবে এসব সমালোচনা আমলে নিতে রাজি নয় মিয়ানমার। এমনকি দেশে বিরোধী নানা পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসতেও নারাজ তারা। উল্টো বিদ্রোহী বিভিন্ন গোষ্ঠীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে। যেমন গত মাসে দেশটির একটি গ্রামে বিদ্রোহীদের ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায় মিয়ানমার বাহিনী। এতে প্রায় ১৭০ জন নিহত হন। এ ঘটনার জেরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও একঘরে হয়ে পড়ে জান্তা সরকার।

এরই মধ্যে গত রোববার মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় শান রাজ্যের সি হেসেং শহরে আসিয়ানের মানবিক সহায়তা কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের গাড়িবহর লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। ওই হামলার সঙ্গে কারা জড়িত ছিল, তা এখনো জানা যায়নি। এরপর জান্তা সরকার নিয়ে সমালোচনা আরও বেড়েছে। এ ঘটনার পর চাপে রয়েছে আসিয়ানও। বিবৃতিতে আসিয়ান বলেছে, ‘আমরা এই হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। এ ছাড়া হামলাকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি করছি।’