যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া আজ সোমবার গত পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের সবচেয়ে বড় যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে।
মহড়া শুরুর আগে পরমাণু শক্তিধর উত্তর কোরিয়া সতর্ক করে বলেছিল, তারা এই ধরনের পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে গণ্য করতে পারে।
এ ছাড়া মহড়া শুরুর প্রাক্কালে গতকাল রোববার উত্তর কোরিয়া কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। সাধারণত, পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রে ‘কৌশলগত’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
সাম্প্রতিক মাসগুলোয় উত্তর কোরিয়া একের পর এক নিষিদ্ধ অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে আসছে। উত্তর কোরিয়ার দিক থেকে আসা ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে ওয়াশিংটন ও সিউল নিজেদের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার এই যৌথ সামরিক মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফ্রিডম শিল্ড ২৩’। আজ থেকে অন্তত ১০ দিন এই মহড়া চলার কথা রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার দ্বিগুণ আগ্রাসনের মুখে পরিবর্তিত নিরাপত্তা পরিস্থিতি মোকাবিলার বিষয়টি এই মহড়ায় গুরুত্ব পাবে।
যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার এই ধরনের সামরিক মহড়ার বিষয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়ে আসছে পিয়ংইয়ং। তারা এই ধরনের মহড়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে আসছে। এই ধরনের মহড়াকে আক্রমণের পূর্বপ্রস্ততি হিসেবে দেখছে পিয়ংইয়ং।
এদিকে উত্তর কোরিয়া বরাবর বলে আসছে, তার পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি শুধু আত্মরক্ষার জন্য।