ভূমিধসের এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়
ভূমিধসের এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে ১১ জনের মৃত্যু

ইন্দোনেশিয়ায় একটি অবৈধ খনিতে ভূমিধসের ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় দুর্যোগবিষয়ক সংস্থার এক কর্মকর্তা আজ শনিবার মৃতের এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মৃতের সংখ্যা ১৫ বলে জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। আজ তা সংশোধন করে বলা হয়েছে, দুর্গম এলাকা হওয়ায় মৃতের সংখ্যা গণনার ক্ষেত্রে ভুল হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপ এলাকার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের একটি দুর্গম এলাকায় ভারী বৃষ্টির পর ভূমিধসের এ ঘটনা ঘটে। মৃত এবং আহতদের শনাক্ত করতে উদ্ধারকারী দল হিমশিম খেয়ে যায়।

ভূমিধসের এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। কাছাকাছি গ্রাম থেকে ওই দুর্গম এলাকার দিকে যেতে পুলিশ কর্মকর্তা, সেনা সদস্য, বেসামরিক মানুষ এবং উদ্ধারকর্মীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটতে হয়েছে।

পশ্চিম সুমাত্রার সোলোক জেলার দুর্যোগ সংস্থার কর্মকর্তা ইরওয়ান এফেন্দি আজ এএফপিকে বলেন, ‘মৃতের সংখ্যা ১৫ থেকে সংশোধন করে ১১তে নামিয়ে আনা হয়েছে। কেউ নিখোঁজ নেই।।’

এর আগে কর্মকর্তারা ২৫ জন নিখোঁজ থাকার তথ্য জানিয়েছিলেন।

হতাহত এবং নিখোঁজের সংখ্যা বিভ্রান্তি তৈরি হওয়া প্রসঙ্গে ইরওয়ান এফেন্দি বলেন, ‘ভূমিধসের জায়গাটি ৪-৬ ঘণ্টা হেঁটে যাওয়ার মতো দুর্গম হওয়ায় এবং যোগাযোগ নেটওয়ার্কের অভাব থাকায় ভুক্তভোগীদের সংখ্যায় গরমিল হয়েছে।’

এএফপিকে তিনি আরও বলেন, একটি ‘অবৈধ’ খনিতে ভূমিধসের পর ১৩ জনকে আহত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ দেশ ইন্দোনেশিয়ায় অনুমোদন না নিয়ে খনি পরিচালনার বিষয়টি খুবই পরিচিত ঘটনা। স্থানীয়দের অনেকে বেঁচে যাওয়া স্বর্ণ খুঁজতে অনেক সময় পরিত্যক্ত জায়গাগুলোতে যান। কোনো ধরনের নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার না করে সোনা খোঁজেন তারা।

বর্ষা মৌসুমে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসের ঘটনাও পরিচিত। সাধারণত নভেম্বর থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। তবে বৈরী আবহাওয়াকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়গুলোতে ওই সময়ের বাইরেও কিছু কিছু দুর্যোগ হচ্ছে।