বন্যার্তদের উদ্ধারকাজ প্রত্যক্ষ করছেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং–উন। উত্তর পিয়ংগান প্রদেশের সিনুইজু শহরে, ২৮ জুলাই, ২০২৪
বন্যার্তদের উদ্ধারকাজ প্রত্যক্ষ করছেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং–উন। উত্তর পিয়ংগান প্রদেশের সিনুইজু শহরে, ২৮ জুলাই, ২০২৪

উত্তর কোরিয়ায় বন্যা, উদ্ধারে নেমেছে সামরিক হেলিকপ্টার

গ্রীষ্মকালীন ভারী বৃষ্টিতে উত্তর কোরিয়ায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে চীন সীমান্তঘেঁষা দেশটির উত্তর–পশ্চিমাঞ্চল থেকে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষকে সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করা হয়েছে। এমনকি দেশটির নেতা কিম জং–উন ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি।

তবে এখন পর্যন্ত বন্যায় কারও মৃত্যু হয়েছে বা কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সে সম্পর্কে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কিছু জানায়নি।

দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানিয়েছে, গতকাল রোববার সিনুইজু শহর ও উইজু শহর থেকে বন্যার্তদের উদ্ধারে সামরিক বাহিনীর তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করেছেন কিম জং–উন। উদ্ধারকাজে ১০টি সামরিক হেলিকপ্টারের পাশাপাশি নৌবাহিনী ও সরকারের অন্যান্য বিভাগের নৌকাও অংশ নিয়েছে।

কেসিএনএ জানায়, প্রবল বৃষ্টির কারণে গত শনিবার উত্তর কোরিয়া-চীন সীমান্তের একটি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে। এতে  সেখানে ‘বড় ধরনের সংকট’ তৈরি হয়।

ওই অঞ্চলে সম্প্রতি টানা বৃষ্টি হচ্ছিল। তাই সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু যথাসময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় সরকারি কর্মকর্তাদের তিরস্কার করেছেন কিম জং–উন।

কিম সরকারি কর্মকর্তাদের তিরস্কার করে বলেন, তাঁরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দুর্যোগ প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে আকাশ থেকে সহায়তা আসার আশায় বসে ছিলেন। তাই প্রকৃতির সঙ্গে লড়তে গিয়ে তাঁরা পরাজিত হয়েছেন।

উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি রেকর্ড বৃষ্টির সাক্ষী হয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে দেশটির কায়েসং সিটিতে এক দিনে ৪৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছিল। গত ২৯ বছরে উত্তর কোরিয়ায় এক দিনে এত বৃষ্টি হওয়ার রেকর্ড নেই বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর।

দুর্বল নিষ্কাশনব্যবস্থা, বন উজাড় ও জরাজীর্ণ অবকাঠামোর কারণে উত্তর কোরিয়ায় গ্রীষ্মকালীন বন্যা প্রায়ই কৃষিজমির জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে ওঠে।