চীনের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইছে। আজ শুক্রবার সেখানকার তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমেছে। রাস্তাঘাট বরফে ঢেকে যাওয়ায় বেশ কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। পরে কর্তৃপক্ষ কয়েকটি প্রদেশে মহাসড়কে যান চলাচল সীমিত করেছে।
চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশটির উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ হেইলংজিয়াং এবং উত্তর-পশ্চিমের জিনজিয়াং অঞ্চল, দেশটির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ইনার মঙ্গোলিয়া এবং গানসু ও কিংহাই প্রদেশের বিভিন্ন অংশে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যেতে পারে।
আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে শুরু হওয়া এই শৈত্যপ্রবাহ দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণে বয়ে যাচ্ছে। সপ্তাহান্তেও তা চলবে। আগামী ১০ দিন দেশের বেশির ভাগ অংশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম তাপমাত্রা থাকবে। তবে বৃষ্টি ও তুষারপাত কমে আসতে পারে।
হেইলংজিয়াং প্রদেশের ইচুন শহরে ১৯৮০ সালের জানুয়ারিতে তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের চেয়ে ৪৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে। আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে সেই রেকর্ড ভাঙতে পারে। হেনান প্রদেশে তুষারপাতের কারণে বরফ ঢাকা পড়েছে সড়ক। সঙ্গে ঘন কুয়াশা। এ অবস্থায় সেখানে বেশ কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিংজিয়া অঞ্চলের ট্রাফিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তুষারপাতের কারণে বেশ কিছু মহাসড়কে যান চলাচল এখন ঝুঁকিপূর্ণ। সেসব মহাসড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেশী গানসু প্রদেশেও কিছু মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং ট্রেন চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। বাণিজ্যিক নগর সাংহাইয়ে ফেরি ও কিছু বাস চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারী তুষারপাতের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বেইজিংয়ে দুটি সাবওয়ে ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত ৫০০ জনের বেশি ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁদের মধ্যে ১০২ জনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাড় ভেঙেছে।