মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তানে ভারতের তৈরি কাশির সিরাপ খেয়ে ৬৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ২১ জনকে সাজা দিয়েছে দেশটি।
২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই সিরাপ খেয়ে দেশটিতে অন্তত ৮৬ শিশু বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ৬৮ জনের মৃত্যু হয়।
দণ্ডিত ব্যক্তিদের মধ্যে ভারতীয় নাগরিক রাঘবেন্দ্র প্রতাপ রয়েছেন। তিনি উজবেকিস্তানে ডক-১ ম্যাক্স সিরাপের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। তাঁকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
উজবেকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের তথ্য অনুযায়ী, দুর্নীতি, কর ফাঁকি ও জালিয়াতির দায়ে রাঘবেন্দ্র দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
গত বছরের জানুয়ারিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, সিরাপের নমুনা পরীক্ষা করে এতে বিষাক্ত ডায়েথিলিন গ্লাইকোল বা ইথালিন গ্লাইকোল পাওয়া গেছে। এসব উপাদান শিল্পকারখানায় দ্রাবক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই বিষাক্ত পদার্থ অল্প পরিমাণে গ্রহণ করলেও প্রাণঘাতী হতে পারে।
এর পরপরই ভারত উত্তর প্রদেশে অবস্থিত ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ম্যারিয়ন বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেডকে ওষুধ তৈরির লাইসেন্স বাতিল করে।
উজবেকিস্তানে যখন ঘটনাটি ঘটে, তখন গাম্বিয়াতেও ভারত থেকে আমদানি করা আরেকটি কোম্পানির সিরাপ খেয়ে অন্তত ৭০টি শিশুর কিডনি বিকল হয়ে যায়। ইন্দোনেশিয়ায় একই সময়ে একই ধরনের বিষাক্ত সিরাপ খাওয়ার কারণে দুই শতাধিক শিশুর মৃত্যু হয়।