রাশিয়ার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি স্বাভাবিকভাবে মারা গেছেন বলে দাবি করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রবিষয়ক গোয়েন্দা সংস্থা এসভিআরের প্রধান সের্গেই নারায়েশকিন। গত বৃহস্পতিবার তিনি এ দাবি করেন।
আমি মনে করি না, নাভালনির মৃত্যুর পেছনে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা ছিল। তবে দুঃখজনকভাবে লোকজন এ ঘটনার পেছনে বিশেষ কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। আজ হোক, কাল হোক, মানুষ মারা যাবেই। নাভালনিও স্বাভাবিকভাবে মারা গেছেন।সের্গেই নারায়েশকিন, রুশ গোয়েন্দাপ্রধান
এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে সের্গেই নারায়েশকিনের দেওয়া বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে রুশ বার্তা সংস্থাগুলোর খবরে বলা হয়, ‘আমি মনে করি না, নাভালনির মৃত্যুর পেছনে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা ছিল। তবে দুঃখজনকভাবে লোকজন এ ঘটনার পেছনে বিশেষ কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। আজ হোক, কাল হোক, মানুষ মারা যাবেই। নাভালনিও স্বাভাবিকভাবে মারা গেছেন।’
নাভালনির মৃত্যুর পেছনে পশ্চিমা কোনো দেশের হাত ছিল কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে রুশ গোয়েন্দাপ্রধান এ মন্তব্য করেন। নারায়েশকিন বলেন, নাভালনির মৃত্যুর ঘটনায় পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া ‘উদ্ধত’ বলে মনে করেন তিনি।
নাভালনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কড়া সমালোচক বলে সুপরিচিত ছিলেন। গত মাসে আর্কটিকের একটি কারাগারে ৪৭ বছর বয়সে মারা যান নাভালনি। তাঁর সমর্থকদের অভিযোগ, তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে। তবে তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় রাশিয়ার কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতার কথা নাকচ করে দিয়েছে ক্রেমলিন।
রুশ গোয়েন্দাপ্রধান বলেন, ‘নাভালনির কফিন ঘিরে (মৃত্যুর ঘটনায়) যখন পশ্চিমা দেশগুলো “শয়তানি নৃত্য” করে, তখন অবশ্যই তা উদ্ধত। এটি অনৈতিক, নিম্ন রুচির ও নীতিবিবর্জিত। আর কী বলার আছে? তাদের এমন প্রতিক্রিয়া আগে থেকেই অনুমানযোগ্য।’
নাভালনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কড়া সমালোচক বলে সুপরিচিত ছিলেন। গত মাসে আর্কটিকের একটি কারাগারে ৪৭ বছর বয়সে মারা যান নাভালনি। তাঁর সমর্থকদের অভিযোগ, তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে। তবে তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় রাশিয়ার কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতার কথা নাকচ করে দিয়েছে ক্রেমলিন।