আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি শিক্ষাকেন্দ্রে আত্মঘাতী হামলার ঘটনায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। কাবুল পুলিশের বরাতে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
আজ শুক্রবার কাবুল শহরের পশ্চিমে দাশত-ই বারছি এলাকায় কাজ নামের একটি শিক্ষাকেন্দ্রে বিস্ফোরণটি হয়। ওই কেন্দ্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, সেখানকার শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতিমূলক পড়াশোনা করছিলেন।
দাশত–ই বারছি এলাকায় বসবাসকারী মানুষের বেশির ভাগই সংখ্যালঘু হাজারা গোষ্ঠীর। অতীতেও বিভিন্ন হামলায় তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
আজকের বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ দায় স্বীকার করেনি।
শিয়া হাজারারা দীর্ঘদিন ধরেই তালেবান ও তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছে।
তালেবানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল নাফি তাকোর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নিরাপত্তা দলগুলো ঘটনাস্থলে আছে।
তাকোর আরও বলেন, বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার মধ্য দিয়ে শত্রুর অমানবিক নৃশংসতা এবং নৈতিক মানদণ্ডের ঘাটতির কথা প্রমাণ হয়।
গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখল করে। এর পর থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলে আসছে, তারা স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
তবে দেশটিতে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
দাশত-ই বারছি এলাকায় আগেও বেশ কিছু হামলা হয়েছে। এসব হামলার কোনো কোনোটির লক্ষ্যবস্তু ছিল স্কুল ও হাসপাতাল।
গত বছর তালেবান ক্ষমতা দখল করার আগে দাশত–ই বারছি এলাকায় একটি বালিকা বিদ্যালয়ে বোমা হামলার ঘটনায় ৮৫ জন নিহত হয়। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই শিক্ষার্থী ছিলেন। ওই হামলায় আহত হন শত শত শিক্ষার্থী।