থাইল্যান্ডে আফ্রিকা থেকে আসা এক ব্যক্তির শরীরে এমপক্সের সংক্রমণে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। বিভিন্ন দেশে সম্প্রতি ভাইরাসটির ক্লেড ১বি ধরনটি ছড়িয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই ব্যক্তির ধরনও এটি হতে পারে। তবে নিশ্চিত হতে আরও দুদিন সময় লাগবে।
ভাইরাসটির আলোচিত নতুন ধরনটি অনেক বেশি ভয়াবহ। ১৫ আগস্ট মাঙ্কিপক্সকে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
থাইল্যান্ডের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রধান থংচাই কিরাতিহাত্তায়াকর্ন জানান, ৬৬ বছর বয়সী ওই রোগী একজন ইউরোপীয় নাগরিক। তিনি ১৪ আগস্ট আফ্রিকা থেকে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে আসেন। এমপক্সের লক্ষণ থাকায় পরদিন সকালে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
থংচাই এএফপিকে বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছি, তাঁর শরীরে এমপক্সের যে ধরনটি, তা অবশ্যই “ক্লেড-২” নয়। এখনো ধরনটি ঠিক কোনটি, তা জানতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। আমাদের ধারণা, তিনি ‘ক্লেড-১’ ধরনে আক্রান্ত। তবে তা নিশ্চিত হতে আরও দুদিন অপেক্ষা করতে হবে।’
থংচাই সংবাদ সম্মেলনে জানান, আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গনিরোধ) রাখা হয়েছে। এর আগে তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন, এমন মোট ৪২ জনকে স্বাস্থ্যকর্মীরা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
সম্প্রতি আফ্রিকায় এমপক্সের সংক্রমণে আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। গত মাসে মহাদেশটির গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, বুরুন্ডি, কেনিয়া, রুয়ান্ডা ও উগান্ডায় ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা জানা গেছে।
এমপক্সকে একসময় মাঙ্কিপক্স বলা হতো। এটি প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল ডেনমার্কে ১৯৫৮ সালে। গবেষণার জন্য রাখা বানরের শরীরে এটি ধরা পড়ে।
চলতি বছর গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোতে ১৬ হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে এমপক্স শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে ভাইরাসটির সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ শতাধিক মানুষের। ১৫ আগস্ট আফ্রিকার বাইরে সুইডেনে প্রথমবারের মতো ক্লেড-১-এ আক্রান্ত রোগীর কথা জানা যায়।
ডব্লিউএইচওর তথ্যমতে, ক্লেড-১বি-তে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ৩ দশমিক ৬। এ ধরনে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) জারি করা জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কবার্তায় বলা হয়, মাঙ্কিপক্স একপ্রকার সংক্রামক রোগ। এর উপসর্গ অনেকটা জ্বর বা ফ্লুর মতো। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে এমনকি শ্বাসপ্রশ্বাস থেকেও অন্য কেউ এতে সংক্রমিত হতে পারেন।