দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মোহাম্মদ শিয়া আল–সুদানি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সরকারপ্রধান হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেন ইরাকের নতুন প্রেসিডেন্ট আব্দুল লতিফ রশিদ। খবর আল–জাজিরার।
ইরাকের পার্লামেন্টে ইরান সমর্থিত শিয়াদের বৃহত্তম রাজনৈতিক জোটের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী পদে আল–সুদানিকে মনোনীত করা হয়েছে। তবে তিনি দেশটির প্রভাবশালী শিয়া নেতা মুক্তাদার আল–সদরের সমর্থন পাবেন না বলে মনে করা হচ্ছে। গত অক্টোবরের পার্লামেন্ট নির্বাচনে আল–সদরের নেতৃত্বাধীন জোট ভালো ফল করেছিল।
এখন পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে নতুন সরকার গঠন করতে হবে আল–সুদানিকে। একই সঙ্গে তাঁকে ইরাকের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে।
আল–সুদানির জন্ম ১৯৭০ সালে, ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলে। মাত্র ১০ বছর বয়সে তিনি বাবাকে হারান। ইরান সমর্থিত ইসলামিক দাওয়া পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে সাদ্দাম হোসেনের আমলে আল–সুদানির বাবাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।
পরবর্তীতে সাদ্দাম হোসেনের পতনের উদ্দেশে শিয়া বিদ্রোহে যোগ দেন আল–সুদানি। ওই সময় অনেকে দেশ ছেড়ে পালালেও তিনি ইরাকে রয়ে যান। ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন বাহিনী হামলা চালালে রাজনৈতিক উত্থান ঘটে আল–সুদানির। সাদ্দামের পতনের পর তিনি স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
২০০৪ সালে আল–সুদানি ইরাকের আমারাহ শহরের মেয়র ছিলেন। পরে তিনি নিজ প্রদেশ মায়সানের গভর্নর হন। ইরাকের নুরি আল–মালিকি ও হায়দার আল–আবাদি সরকারে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মন্ত্রণালয় সামলেছেন আল–সুদানি। ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইরাকের মানবাধিকারবিষয়ক মন্ত্রী এবং ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শ্রম ও সামাজ কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন তিনি।