দক্ষিণ ফিলিপাইনের মারাউই শহরে মিন্দানাও স্টেট ইউনিভার্সিটির জিমনেসিয়ামে রোববার বোমা বিস্ফোরণে চারজন নিহত হন
দক্ষিণ ফিলিপাইনের মারাউই শহরে মিন্দানাও স্টেট ইউনিভার্সিটির জিমনেসিয়ামে রোববার বোমা বিস্ফোরণে চারজন নিহত হন

ফিলিপাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণঘাতী বিস্ফোরণ

ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলের মারাউই শহরে মিন্দানাও স্টেট ইউনিভার্সিটির জিমনেসিয়ামে বোমা বিস্ফোরণে চারজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন ৪২ জন। আজ রোববার সকালে ওই জিমনেসিয়ামে ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সমাবেশে এ ঘটনা ঘটে।

মারাউই ফিলিপাইনের সবচেয়ে বড় মুসলিম–অধ্যুষিত শহর। ২০১৭ সালে এই শহরে সরকারি বাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে পাঁচ মাস ধরে লড়াই চলেছিল। এ অঞ্চলের পুলিশপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অ্যালান নোবলেজা বলেন, আজকের বিস্ফোরণের পেছনে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী দাউলাহ ইসলামিয়াহ-মাউতের হাত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, গত শুক্রবার দাতু হোফের আমপাতুয়ান শহরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির ১১ সদস্যের মৃত্যু হয়। এর প্রতিশোধ হিসেবে আজকের হামলা চালানো হতে পারে।

এই বিস্ফোরণের নিন্দা জানিয়েছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। ‘বিদেশি সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি। বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনার পর দেশের মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ।

এদিকে বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলের বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামে প্লাস্টিকের চেয়ার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। তবে ভবনটির বড় কোনো ক্ষতি হয়েছে বলে ছবিগুলো দেখে মনে হয়নি।

ফিলিপাইনের ১১ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশই ক্যাথলিক খ্রিষ্টান। দেশটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জিমনেসিয়াম এমনকি শপিং মলগুলোয়ও প্রতি রোববার সমাবেশের আয়োজন করে থাকেন তাঁরা। বিশেষ করে যেসব স্থানে গির্জা নেই, সেখানেই ক্যাথলিক সমাবেশের জন্য জিমনেসিয়াম বা শপিং মলের মতো জায়গা বেছে নেওয়া হয়।

ফিলিপাইনের মিন্দানাও দ্বীপে স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা করতে দেশটির সবচেয়ে বড় বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তিতে যায় ম্যানিলা। পরে ২০২২ সালে সেখানে আঞ্চলিক পরিষদের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপরও এ অঞ্চলে মাঝেমধ্যেই সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।