উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনের বোন কিম ইয়ো জং আবারও রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর দেশের অস্ত্র আদান-প্রদানের কথা অস্বীকার করেছেন। উত্তর কোরিয়ার প্রভাবশালী এই নারী বলেছেন, তাঁর দেশ সম্প্রতি যে অস্ত্র তৈরি ও হালনাগাদ করেছে, সেগুলো অন্য দেশের কাছে বিক্রির জন্য নয়। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার অভিযোগ, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। মস্কো ও পিয়ংইয়ং এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তবে নিজেদের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক গভীর করার ব্যাপারে অঙ্গীকার করেছে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া।
সেপ্টেম্বরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনের রাশিয়া সফর এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একটি শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক জোরালো হয়েছে।
কিম ইয়ো জংয়ের দাবি, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে অস্ত্রসংক্রান্ত চুক্তি হয়েছে বলে যে ‘তত্ত্ব’ ছড়ানো হচ্ছে, তা মনগড়া ও কাল্পনিক। এটা এতটাই ‘অযৌক্তিক তত্ত্ব’ যে এ নিয়ে কারও মূল্যায়ন বা ব্যাখ্যার প্রয়োজন পড়ে না। কিম ইয়ো জংকে উদ্ধৃত করে কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার শত্রু পক্ষ এ গুজব ছড়িয়েছে।
কিম ইয়ো জং আরও বলেন, রকেট লঞ্চার এবং সম্প্রতি প্রদর্শিত ক্ষেপণাস্ত্রসহ উত্তর কোরিয়ার কৌশলগত অস্ত্রগুলো রপ্তানির জন্য নয়, এগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার হামলা প্রতিরোধের জন্য।
গত মাসে দক্ষিণ কোরীয় সীমান্তে কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করেছে উত্তর কোরিয়া। সেখানে কাঁটাতারের বেড়া ও সেনাচৌকি তৈরি করা হয়েছে। কয়েকটি সরকারি সূত্রের বরাতে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংবাদপত্র আজ এমন খবর প্রকাশ করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা উত্তর কোরিয়ার সামরিক তৎপরতাগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাদের নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলা হয়নি।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন করে দুজন রুশ নাগরিক এবং তিনটি রুশ কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন অস্ত্র আদান-প্রদানে সহযোগিতা করার অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।